নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
একদিকে যখন হকার উচ্ছেদে জোর দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে তখন খড়গপুরে চলল গুলি।এইদিন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে অজ্ঞাত পরিচয় তিন দুষ্কৃতি গুলি করে চলে যায়।যে ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন এর সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই।
খড়্গপুরে গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ খড়্গপুর শহরের ১৫ নং ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকার তৃণমূল পার্টি অফিসের কাছে একটি মোটর বাইকে মুখ ঢাকা অবস্থায় তিন দুষ্কৃতি এসে বি. সন্তোষ কুমার নামে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।তাঁকে লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন আহত তৃণমূল কর্মী।একটি গুলি তার কোমরের নিচে লাগে বলে জানা যাচ্ছে।এরপরই স্থানীয় মানুষেরা আহত ঐ তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।পরে অবস্থা খারাপ হলে তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যদিও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এর আগেও এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ বান্তা মুরলির বাড়িতে একবার দুষ্কৃতী হামলা হয়েছিল।কিছু দুষ্কৃতী মুখে বেঁধে এসে এই কাউন্সিলারের বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিল এবং খোঁজ করেছিল এই এই এ বান্তা মুরলির।
যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন খড়্গপুর শান্ত সৃষ্ট পরিবেশ,এখনো শান্তি বজায় রেখেছে এখানকার পুলিশ প্রশাসনের দৌলতে কিন্তু আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তা অপ্রীতিকর।এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই।এই ঘটনার সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যাপার। তবে পুলিশ এই বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর এবং খতিয়ে দেখছে কারণ।
যদিও এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।বিজেপির জেলা মুখপত্র অরূপ দাস বলেন,”খড়্গপুরে মাফিয়া রাজ কোন নতুন ঘটনা নয়।তবে তৃণমূলের আমলে এই মাফিয়া রাজ আরও বাড় বাড়ন্ত হয়েছে।গোটা রাজ্যজুড়েই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহত।এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে পুলিশ অবশ্যই এই গুলি কাণ্ডের জেরে তৃণমূলকেই।