নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
লোকসভা কেন্দ্রে মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া আর তাতেই কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।তিনি বললেন পুরনো দিনের অভিজ্ঞতা মেদিনীপুরের মানুষের ভালো না।তাই সুন্দর মুখ দেখে আর ভোট দেবে না তৃণমূলে।যদিও বহরমপুরে ইউসুফ পাঠান কে প্রার্থী করা নিয়ে দিলীপ ঘোষের সাফ বক্তব্য অধীরের রাস্তায় পাথর ফেলে দিয়েছে তৃণমূল।যদিও বিজেপি এখনো পর্যন্ত মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
সম্প্রতি জনগর্জন সভা থেকে শাসক দল এবং রাজ্যের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে ২০২৪ লোকসভার নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।এই সভা থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল।যার মধ্যে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর হয়েছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া।যদিও এর আগে জুন মালিয়া মেদিনীপুর বিধানসভা থেকে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়িকা নির্বাচিত হন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকা এ অভিনেত্রী কে এবার লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো।যদিও এই নিয়েই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ।মূলত এদিন খড়গপুরে মর্নিংওয়াক ও চা চক্রে এসেছিলেন মেদিনীপুরের বর্তমান সাংসদ দিলীপ বাবু।তিনি মর্নিং ওয়ার্ক শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আর সেখানেই জুন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন।এদিন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা তাকে জুন মালিয়া প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি প্রথমে প্রথমেই জুনকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন জুন এখানকার প্রার্থী হয়েছে তাকে শুভেচ্ছা রইল।তবে বিজেপি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সারা বছর জুড়েই কাজ করে চলছে।বিশেষ করে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের রেল শহর খড়গপুরকে ঢালাও সাজিয়েছে।রেলের বিপুল পরিবর্তন করেছে।নতুন নতুন রেল লাইন হচ্ছে,ট্রেন চলছে। বেলদাতে এয়ারপোর্ট তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।কলাইকুন্ডার বিমানবন্দরকে জাতীয় বিমানবন্দর করার যোজনা তৈরি হয়েছে।সার্বিক ভাবে বলা যেতে পারে সারা বছর ধরে উন্নয়নের কাজ করে চলছে।অন্যদিকে এই সুন্দর মুখ দেখে মানুষ ভোট দেবে না। কারণ পুরানো দিনের অভিজ্ঞতা ভালো নয় মেদিনীপুরের মানুষের।তাই কিছুটা কৌতুকের সুরেই দিলীপ ঘোষ বলেন সুন্দরী জুনকে ভোট দেবে না মানুষ।এরপরই বহরমপুরে অধীরের বিরুদ্ধে ইউসুফ পাঠানকে তৃণমূল প্রার্থী করা নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ইউসুফ পাঠানকে যদি তৃণমূলের এত ক্যান্ডিডেট করাই প্রয়োজন ছিল তাহলে গুজরাট থেকে করা উচিত ছিল।তাতে গুজরাটে তৃণমূলের সিট হতো। ওখান থেকে খানে উড়িয়া আনার কোন মানে হয় না।আমার মনে হয় অধীরের রাস্তায় পাথর ফেলে দিয়েছে তৃণমূল।