নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
এক আট বছরের শিশু কন্যার উপর পাশবিক নির্যাতন আর এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।তাদের বক্তব্য অভিযুক্তকে গণধোলাই দিতে হবে এবং তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।
এক আট বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বছর ৪০ এর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের তোড়াপাড়া এলাকার।এলাকাবাসীরা বলেন রবিবার বিকেলে ওয়ার্ডে যখন শাসক দলের মিছিল হচ্ছিল সেই সময় তোড়াপাড়ার ক্যানালপার এলাকার বাসিন্দা সোমনাথ মন্ডল এলাকার ২ শিশু কন্যাকে (একটা ৭ বছর একটা ৮ বছর)তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর বাচ্চা দুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। দুই শিশু কন্যার মধ্যে এক শিশু কন্যার শরীর রক্তে ভিজে যায়।এলাকাবাসীদের নজরে বিষয়টি আসতেই সকলে মিলে সোমনাথ মন্ডল এর বাড়িতে যান এবং দেখেন সোমনাথ মন্ডল এর বাড়ির ভিতর যে খাটটি রয়েছে তার রক্তে পরিপূর্ণ।
তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়।পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত সোমনাথ মন্ডলকে আটক করে নিয়ে আসে। অন্যদিকে ধর্ষিত ওই শিশু কন্যা এবং তার পরিবারের লোকেরা মেদিনীপুর মহিলা থানায় সোমনাথ মন্ডল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়।পরে ওই শিশু কন্যাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে কোতোয়ালি থানা ঘিরে অভিযুক্ত সোমনাথ মন্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন তোড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
পলাশ দাশ নামের স্থানীয় বলেন আমরা মিছিলের জন্য তোড়ঝোড় করছিলাম ঠিক তখনই এই মর্মান্তিক খবর আসে।ওই লোকটি ডিফেন্সে চাকরি করে বলে শুনেছি। দুটি শিশুর মধ্যে একটি শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চাই দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। অন্যদিকে জয়ন্তী পাল নামে আর এক জন স্থানীয় বলেন পুলিশ ওকে অ্যারেস্ট করার আগে আমাদের হাতে তুলে দিতে পারত।আমরা ওকে গণধোলাই দিয়ে বুঝিয়ে দিতাম নারকীয় ঘটনা ঘটানোর শাস্তি কি হয়।এই ধরনের নোংরামো যারা করে পাড়ায় তাদের প্রকাশ্যেই মারা উচিত।