নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একসময় চানাচুর বিক্রি করে পুজো শুরু করেছিল ডাকবাংলো রোডের লাহা পরিবার।দিদিমার হালকা ভাজা নামে পরিচিত লাহা পরিবারে লক্ষ্মীপুজো এবারে পঞ্চাশ বছর অতিক্রম।এইবছরও পুজো হলো জাঁকজমক ভাবে।সেই পুজো চালাচ্ছেন বর্তমান তার ছেলে বাবু সোনা লাহা।
মেদিনীপুর শহরে পুরানো এমন বহু লক্ষী পূজো হয়। এরকমই এক পুরানো লক্ষ্মীপূজো শরৎপল্লীর ডাক বাংলো রোডে। দিদিমার হালকা ভাজা পরিবারের পুরনো প্রাচীন রীতি নীতি মেনে এখনও সেই পুজো হয় মেদিনীপুর শহরের ডাক বাংলা রোডের রামচন্দ্র লাহার বাড়িতে।এই লক্ষ্মী পূজো ৫০ বছরের অধিক পুরনো পুজো।এ বিষয়ে রাম চন্দ্র লাহার স্ত্রী স্বপ্না লাহা জানান,”তাদের জীবন যাপনের অনেক কষ্টের মধ্যে চলত।বাড়িতেই চানাচুর তৈরি করে স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করতেন।পাশাপাশি মনে মনে মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করেছিলেন যে তারাও একদিন মা লক্ষীর প্রতিষ্ঠা করে পুজো করবে।তাই সারাদিন ফেরি করে কিছু অর্থ জমিয়ে ১৯৭৫ সালে প্রথম বাড়িতে লক্ষ্মী প্রতিমা এনে পুজো করেন।এরপর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাঁকজমক করে লক্ষ্মীপূজো করে।এরই সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে নিয়ে এই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্রতী হন।এরপর ২০০৯ সালে রামচন্দ্র লাহা মৃত হয়।সেই বছর তার বাড়িতে পূজো হয় না।তারপরেই সেই পুজোর ভার এবং সংসারের ভার পড়ে রামচন্দ্র লাহার ছেলে বাবু সোনা লাহার কাঁধে।
তখন থেকেই বাবু সোনা লাহা বাবার নীতি আদর্শ মেনে এই লক্ষ্মী পূজো জাঁকজমকের সঙ্গে করে আসছে।পেশায় তিনি বাবার চানাচুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।বর্তমানে দিদিমার হালকা ভাজা নামে পরিচিত হয় তার দোকান।