নিজস্ব,প্রতিনিধি নারায়ণগড়:
নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী নারায়ণগড়ে শীতলা মন্দিরের পূজো দিতে এসে মন্দিরে তালা দেখে ক্ষুব্ধ হলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি এই ঘটনায় দুষলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।তিনি বললেন সারা জীবন আটকে রাখার হুমকি দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।আগামী 2026 পর্যন্ত খুব জোর হলে,এরপর আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলেই আমরা মন্দিরে ঢুকবো।
চিরকাল বন্ধ রাখা নিয়েও ক্ষুব্ধ অগ্নিমিত্রা তিনি প্রশ্ন করেন।চিরকাল বলতে কতদিন বলতে পারেন,কারণ 2026 সাল অব্দি হয়তো হতে পারে,কিন্তু 2026 এর পর আমাদের সরকার আসবে। তখন আর মন্দির বন্ধ রাখতে পারবে না।তিনি এও বলেন এই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসল চিত্র,যেখানে পূজারী কেউ আসতে দেওয়া হয়নি মন্দিরে।পাশাপাশি ধর্ম স্থান নিয়ে তিনি বলেন,মন্দির হচ্ছে সবার,মন্দির নিয়ে কোন ভাবে রাজনীতি করা যাবে না।কিন্তু আগে থেকেই তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।একটু উপহাসের সুরেই বলেন অগ্নিমিত্রা পালকে নিয়ে এত ইনসিকিউর ফিল করছে কেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।এতটা দুর্বলই বা হয়ে পড়ছেন কেন যে মন্দিরে তালা লাগিয়ে দিতে হবে।এরপর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন আর কত নিচে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল, “ঠাকুরের পবিত্র স্থানেও রাজনীতি করছে।আমি আসছি বলে তৃণমূল নেতা বিমল ভুঁইয়া মন্দিরের পুরোহিতকে হুমকি দেন যাতে এখানে আমি পুজো দিতে না পারি,জনসংযোগ করতে না পারি।তৃণমূলের এইরকম হিন্দু বিরোধী মানসিকতার জবাব আগামী দিনে মেদিনীপুরের মানুষ দেবে।এরপরই তিনি জনসংযোগে মেতে ওঠেন।
যদিও এ বিষয়ে উল্টো পথে হাঁটছে তৃণমূল।তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন,”উনি তো সব মন্দিরেই যাচ্ছেন,পুজো দিচ্ছেন প্রচার করছেন,কোথাও তো বাধা দেয়া হয়নি।কিন্তু এখানে কেন ওনাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বা পুরোহিত আসেনি সে বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।ওনাদের বিরোধী দলনেতা যেমন পশ্চিমবঙ্গের শীত কেন পড়েনি তা নিয়েও উল্টোপাল্টা মন্তব্য করেন এবং তৃণমূলকে দায়ী করেন ঠিক ওনাদের প্রার্থীও একই পথে হাঁটছেন।তবে আমাদের নেতাকর্মী কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়।পুরো বিষয়টা খোঁজ নেব,এরপর খতিয়ে দেখে বলতে পারব।