নিজস্ব প্রতিনিধি,দাঁতন:
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং উষ্ণায়নের যুগে এক নতুনত্ব বার্তা দিলেন স্কুল শিক্ষক যা ঘিরে আপ্লুত ছাত্র-ছাত্রীরা। Whatsapp গ্রুপে মেসেজ করলেন ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের ঠাকুমা,দাদু ভেবে গাছ জড়িয়ে ধরে একটা করে ছবি তুলে পাঠাও।আর সেই নির্দেশেই ছবি তুলে পাঠালো ছাত্র-ছাত্রীরা যা গাছকে ভালবাসার এক নতুন নিদর্শন পেল জেলা।
গত ৫ ই জুন ছিল বিশ্ব পরিবার দিবস।মূলত গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর যুগে এই পরিবেশ দিবসের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যতা রয়েছে গোটা পৃথিবীজুড়ে।কারণ যেভাবে দিনের পর দিন তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে বাড়িতে বাড়িতে এসি এয়ার কুলার ১০-১২টা ফ্যান লাগিয়েও স্বস্তি পাচ্ছে না জনজীবন।প্রতিদিনই উত্তরোত্তর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েই চলছে,হাঁসফাঁস করছে এই মনুষ্যকুল।তাই এবার অভিনব পদ্ধতি বেছে নিলেন দাঁতনের এক স্কুল শিক্ষক।সদ্য স্কুল খুললেও যখন স্কুল খুলেনি তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ভাগবতচরণ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দাস বিশ্ব পরিবেশ দিবসে কি করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গাছ সম্পর্কে যোগাযোগ নিবিড়ও যোগাযোগ করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে ভাবতেই তিনি whatsapp গ্রুপে মেসেজ করেন ছাত্র-ছাত্রীদের।যেই মেসেজে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে এই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে তোমরা তোমাদের বাড়ির আশেপাশের যে কোন গাছকে জড়িয়ে ধরে একটি করে ছবি পাঠাও।শুধু গাছকে জড়িয়ে ধরলেই হবে না,তাকে তোমাদের বাড়ির পরিবারের দাদু ঠাকুমা বা নিকট আত্মীয় ভেবেই তাকে আদর করতে হবে এবং তার প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে হবে।
সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা তড়িঘড়ি সেই ছবি তুলে পাঠালেন তাদের স্কুলের শিক্ষকের হোয়াটসঅ্যাপে।সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি পেয়ে তিনি সেই ছবি সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুক পোস্ট করলেন।আর এই পোস্ট করেই সকলের কুর্নিশ আদায় করলেন এই শিক্ষক।বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গাছকে আদর করে সেই ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে স্যারের পোস্টে আপ্লুত সূর্য, সৃজনী,সুস্মিতা,অনুষ্কা,রিমা,কুহেলি, সায়ন্তিকারা।স্যারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই পাঠদান তাদের কাছে এক অন্যরকম দাগ কেটেছে মনে।
যদিও এ বিষয়ে দাঁতন ভাগবত চরণ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দাসের বক্তব্য“প্রতিদিন বাড়ছে তাপমাত্রা,বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মত ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।এখন আমাদের পরিবেশকে বাঁচাতে হবে পরিবেশের সঙ্গে একাত্মবোধ হতে হবে।তাই এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গাছের প্রতি বন্ধন মমত্ববোধ গড়ে তুলতেই এই মেসেজ করেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা আগামীর ভবিষ্যৎ তাই তাদের মধ্যেই এই মমত্ববোধ সহমর্মিতা একাত্মবোধ গড়ে তুলতে হবে।কিছু মানুষ পরিবেশের কথা না ভেবে সবুজ ধ্বংস করছে।পরিবেশের প্রতি,গাছের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে তাঁর মধ্যে এই ভাবনা আসবে কী করে। সম্প্রতি গ্রীষ্মের ছুটি চলছিল। এখনো স্কুল খুললেও পড়ুয়ারা আসেনি।তাই পরিবেশ দিবসে ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে যুক্ত করা যায় এই ভেবে এমন উদ্যোগ নিলাম। এই উদ্যোগে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি।অনেক ছাত্রছাত্রী পরিবেশ দিবসে যুক্ত হয়েছে। যা দেখে আমাদেরও ভালো লাগছে।