নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
স্বাধীনতার আগের ও পরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তত্ত্ব সংরক্ষণে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন।নতুনভাবে সংস্করণ করে পথ চলা শুরু মহাফেজ খানার।এইদিন এই মহাফেজ খানার উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী।বললেন রিসার্চরা রিসার্চ করতে পারবেন এই মহাফেজ খানার তথ্য নিয়ে।
মূলত বিপ্লবী শহর হল মেদিনীপুর আর এই শহরে ও জেলায় লুকিয়ে রয়েছে নানা রকম তত্ত্ব ও তথ্য।এরই সঙ্গে বহু পুরনো বিপ্লবীদের জন্মভিটে রয়েছে এই জেলা শহরে।তবে বর্তমান যুগে সেই সব পুরনো নথি ও কাগজপত্র হারিয়ে যাচ্ছে সংরক্ষণের অভাবে।তবে এবার সরকারিভাবে নতুন করে উদ্যোগ নিল সরকারি দপ্তর।মহাফেজ খানার নব সংস্করণ হলো এদিন।এই নব সংস্করণে মহাফেজ খানার উদ্বোধনে করলেন জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরি।এই মহাফেজ খানায় ১৮৩৯ সালের থেকে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহাফেজ খানার নব সংস্করণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এতে প্রাচীন ঐতিহাসিক মূল্যবান তথ্য সুসংহত ও সুসংবদ্ধ ভাবে নতুন রূপে সংরক্ষণ করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক শহর।যে শহরের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে বহু তত্ত্ব ও তথ্য।তবে এর আগে পুরনো বিল্ডিং এ সংরক্ষণের অভাবে বহু সমস্যা হতো এই মহাফেজ খানায়। যার ফলে এই তথ্য খুঁজতে গিয়ে অসুবিধা সম্মুখীন হতো এখানকার কর্মীরা।বহু এমন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল যেগুলো নষ্ট হওয়ার মুখে।বিশেষ করে স্বাধীনতার আগে যে তালপাতার পুঁথি লেখা সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল এই মহাফেজ খানায়।আর সেগুলো নষ্ট হতে বসেছিল।তাই সেই নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতেই নতুনভাবে সংরক্ষণ করার কাজ শুরু হলো জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।
এদিন জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী এই মহাফেজ খানার উদ্বোধন করে বলেন,”আমাদের এই প্রাচীন শহরের লোকের ভিটেবাড়ি বিভিন্ন কোর্ট কেস কাছারি এবং বিপ্লবীদের বহু তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার উদ্দেশ্যেই এই মহাফেজ খানা।যেখানে আগামী দিনে স্কলারশিপ,পড়ুয়ারা তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবে এখান থেকে।তবে আগামী দিনে ডিজিটালাইজেশন হবে কিনা সে নিয়েও ভাবনা চিন্তা রয়েছে আমাদের।