Mass Beating:চোর সন্দেহে গণপিটুনির জের!মৃত এক টোটো চালক, আহত আশঙ্কা জনক অবস্থায় দ্বিতীয় জন লড়ছে হাসপাতালে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল এক ২৩ বছরের যুবক টোটো চালকের। মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন টোটো চালকের ২২ বছরের বন্ধু অক্ষয় মাহাতো।রবিবার সকালে ঝাড়গ্রাম গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সৌরভের।এই মৃত সৌরভের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়া গ্রামে।অন্যদিকে আহত বন্ধু অক্ষয়েরও বাড়ি বেনাগেড়িয়াতে।

বিচার চাইলেন বাবা

সৌরভের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,চলতি মাসের ২২ তারিখ সৌরভ তার মায়ের স্কুটি নিয়ে তার বন্ধুর সঙ্গে জামবনি থানার অন্তর্গত খাটখুরা এলাকায় কোন কাজের সূত্রে যায়।খাটখুরা থেকে ফেরার সময় বিকেল বেলায় এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহে সৌরভ ও তার বন্ধু অক্ষয়কে গণপিটুনি দেয়।মূলত খাটখুরা এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ হচ্ছিল।সেখানে ঠিকাদারি সংস্থার রাস্তা নির্মাণের গাড়ি রাখা ছিল।সেই গাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ তুলে তাদের দু’জনকে গণপিটুনি দেওয়া গ্রামবাসীরা।এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনী থানার পুলিশ।দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে ঝাড়গ্রাম গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় সৌরভের।

বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তার বন্ধু। সৌরভের বাবা পেশায় টোটো চালক অবনী সাউ বলেন,”আমার ছেলে তার বন্ধুর সঙ্গে স্কুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল।এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহ করে আমার ছেলে ও তার বন্ধুকে মারধর করে।পরে আমরা বিষয়টি জামবনি থানার মারফত জানতে পারি।হাসপাতালে এসে দেখি আমার ছেলে ও তার বন্ধু ভর্তি রয়েছে।আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলের মৃত্যু হয়”।তিনি আরো বলেন,”তোর সন্দেহে কাউকে এভাবে মারা ঠিক না তার জন্য পুলিশ প্রশাসন রয়েছে।যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান”।

জামবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহা জানান,”কেস হয়েছে,ঘটনার তদন্ত চলছে।গণপিটুনি না কিভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের পরেই জানা যাবে”।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in