নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার পুলিশের জালে MA পাস চোর। আর যা নিয়ে যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় গত একমাস আগে মেদিনীপুর শহরের বিধান নগর এলাকায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।সেই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশে আর সেই ঘটনার খতিয়ে দেখতে দৌড়ে আসে কোতোয়ালীর পুলিশ।যদিও সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বাঁকুড়া থেকে সৌমাল্য চৌধুরী নামে এই যুবককে গ্রেপ্তার করে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।যদিও তার ঝুলিতে ইংলিশে মাস্টার ডিগ্রি,LLB ডিগ্রি রয়েছে।
মূলত পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করে এই চুরির ঘটনা।এরপর তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সোনার গহনা সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র।সূত্র অনুযায়ী জানা যায়,এপর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক চুরির সঙ্গে যুক্ত এই বছর ৩৫ এর সৌমাল্য।তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে হতবাক পুলিশ।কারণ সৌমাল্য মাস্টার ডিগ্রি কমপ্লিট করেছে।পুলিশ সুত্রে এও জানা গেছে,এর আগেও সে বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি করেছে এবং চুরির ঘটনা স্বীকারও করেছে।তবে এতো শিক্ষিত হয়েও সৌমাল্য কেন চুরির পেশাকে বেছে নিয়েছে,তা নিয়েই ধন্ধে পুলিশ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সৌমাল্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে এর আগেও চুরির অভিযোগ রয়েছে।যদিও এই সৌমাল্য চৌধুরীর ঝুলিতে রয়েছে এলএলবির মতন ডিগ্রী,রয়েছে ইংলিশে মাস্টার ডিগ্রী।
সূত্র অনুযায়ী,সৌমাল্য চৌধুরী আসানসোলের বাসিন্দা।এই সৌমাল্য চৌধুরীর পিতা একজন সরকারি অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী।তবে চুরি করা তার নেশা।এই সৌমাল্যর মা একজন পেশায় শিক্ষিকা।সূত্র অনুযায়ী এও জানা যায় সৌমাল্য মূলত স্কুলজীবন থেকেই তার এই চুরির নেশা।কখনো বন্ধুদের বই,কলম বা আত্মীয়দের বাড়ি থেকে পছন্দের কোনও জিনিস চুরি করেই শুরুটা হয়েছিল।পরবর্তীকালে চুরির নেশা চেপে বসে সৌমাল্য চৌধুরীকে। সম্প্রতি ঘাটালের আবাসনে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হতে হয় তাকে। পুলিশের কাছে সৌমাল্য জানিয়েছে চুরি করার মানসিক অসুখ(ক্লেপটোম্যানিয়া) রয়েছে তার।