Medical Ragging: মুস্তাফিজুর টার্মিনেটরের পরই রাগিং এর ভিডিও!পড়ুয়াদের দাবি এই ভাবেই “থ্রেট কালচার” চলতো মেডিকেল কলেজে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

শাসকদলের নেতা কে টার্মিনেটর করার পরেই রাগিং এর ভিডিও উঠে এলো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের।যেখানে দেখা যাচ্ছে সারি সারি ভাবে পড়ুয়াদের নিয়ে গিয়ে একটি বড় বিল্ডিং এর সামনে মাঠে গোল গোল করে ঘুরাচ্ছে কেউ একজন।যদিও এ বিষয়ে অ্যান্টি রাগিং কমিটি খতিয়ে দেখছে বলে দাবি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের।

ragging ভিডিও মেডিকেল কলেজের1

একদিকে কলকাতার আরজিকর কাণ্ডে আর্থিক তছরুপ দায়ের সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই যদিও এক্ষেত্রে সিবিআই গ্রেফতার হওয়ার নিজেদের জয় দেখছে পড়ুয়ারা।অন্যদিকে তারই শিষ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মুস্তাফিজুর রহমানের কলেজ থেকে টার্মিনেটর নোটিশে রীতিমতো খুশির ছোঁয়া মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ।তবে এই শাসক দলের নেতা টার্মিনেটরের মধ্যে রাগিং এর ভিডিও উঠে এলো সংবাদ মাধ্যমে।এই ভিডিওই দেখা যাচ্ছে একটি হোস্টেলের নিচে এই মেডিকেল পড়ুয়ারা একে অপরের কাঁধে হাত দিয়ে সারি সারি ভাবে গোল গোল করে ঘুরে যাচ্ছে এবং কেউ একজন নির্দেশ দিচ্ছে।যা এই পড়ুয়ারা এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন।তাদের দাবি এই ভাবেই রাগিং করা হতো মেডিকেল কলেজে।যার প্রতিবাদ করার সাহস কেউই দেখাতে পারেনি।কলকাতার আরজিকরে যেমন অত্যাচার চলেছে ঠিক তেমনি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজেও চলত।কিন্তু যেহেতু বাইরে থেকে পড়ুয়ারা এসে এখানে পড়াশোনা করতো এবং পড়াশোনার একটা চাপ থাকতো এবং সেখানে এই শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো ছিল না।যাকে আমরা থ্রেট কালচার হিসেবেই মান্যতা দিয়েছি।কিন্তু আজকে যখন কলেজ কর্তৃপক্ষ তার বৈঠকের মধ্য দিয়ে ওই শাসক দলের নেতাকে টার্মিনেটর করেছে তখন অনেকেই এগিয়ে এসেছে বলার।সাহস দেখিয়েছে এই রাগিং এর ভিডিও তুলে ধরার।যা নিয়ে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।যদিও এ বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের বক্তব্য এই ভিডিও দেওয়া হয়েছে ঠিকই এই নিয়ে খতিয়ে দেখবে মেডিকেল কলেজের থাকা এন্টি র‍্যাগিং কমিটি।

এই নিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের এক পড়ুয়া বলেন,”কলেজ রাগিং ঠিক এই ভাবেই হত আমাদের কলেজে।শাসকদলের নেতার চাপেই এ রাগিং এর শিকার হয়েছিল এই পড়ুয়ারা।কিন্তু কারো বলার সাহস ও অধিকার ছিল না।যাকে আমরা ‘থ্রেট কালচার’ হিসেবেই বলে এসেছি।তিনি এও বলেন এভাবে আগেও চলত এখনো চলছে।এটা আটকানোর জন্য আমরা বারে বারে দ্বারস্থ হয়েছি প্রিন্সিপাল এবং ডিনের কাছে।পাশাপাশি পড়ুয়া এও দাবি করে এইসব শাসক দলের নেতাদের যদি আমরা এখান থেকে বের করে দিতে পারি তাহলে এই থ্রেট কালচার এবং র‍্যাগিং আটকানো যাবে কলেজে।তবে অ্যান্টি রাগিং কমিটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পড়ুয়া বলেন অনেকে এই অ্যান্টি রাগিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও এসে বলতে পারেনা ভয়ের কারণে।এখন ওই নেতা কে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সবাই বলছে এবং ভিডিও দিচ্ছে।

যদিও এই রাগিং নিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী এক বাক্যে বলেন,”এই বিষয়ে এন্টি রাগিং কমিটি রয়েছে।তাদের কাছে ভিডিও পাঠানো হয়েছে।তারা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে”।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in