Medinipur College: Medinipur College: মেডিক্যাল কলেজের র‌্যাগিং ভিডিওর পর মেদিনীপুর কলেজ ছাত্রীকে কর্মচারীর উত্যক্ত what’s অ্যাপ মেসেজ!চাঞ্চল্য মেদিনীপুর কলেজে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

আর জি কর নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল তার মধ্যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের শাসকদলের নেতার র‌্যাগিং ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।এই সরগরম পরিস্থিতির মধ্যেই এবার মেদিনীপুর কলেজ(অটোনোমাস)এক কলেজ কর্মচারীর ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ।যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ালো মেদিনীপুর কলেজে।যদিও এই ঘটনায় কলেজে থাকা গ্রিভান্স সেল ও মহিলা সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা সই করে অভিযোগ জমা দিলেন প্রিন্সিপাল কে।অন্যদিকে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্যক্ত মেসেজ ঘিরে চাঞ্চল্য

এক আরজিকর নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য দেশ-বিদেশ এরই সঙ্গে মেডিকেল কলেজ পড়ুয়াদের কর্মবিরতি আন্দোলন অব্যাহত অন্যদিকে এবার বিপ্লবী শহর মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজের এক অশিক্ষক কর্মচারীর অশ্লীল whatsapp চ্যাট নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো মেদিনীপুর কলেজে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় মেদিনীপুর কলেজে এক ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রীকে রীতিমত দিনের পাশাপাশি রাতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করতো এই কলেজেরই সত্য রঞ্জন দাস নামে এক অশিক্ষক কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে নিযুক্ত এই ডাটা এন্ট্রি কর্মচারী হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটে ছাত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়েও জানতে চাইতো সেই সঙ্গে তাকে উত্যক্ত করতে বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় ওই ছাত্রী তার ক্লাসের শিক্ষক শিক্ষিকা কে ঘটনা বলে।এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষে কে তারা বিষয়টি জানায়।যদিও এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই অশিক্ষক কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু বাদ সাধে সম্প্রতি ওই কর্মচারীকে পুনরায় নিয়োগ করলে।কারণ তার নিয়োগের পরই রাস্তায় আন্দোলনে বসে পড়ে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই।তারা রীতিমত আন্দোলন করে দাবি করে অবিলম্বে ওই কর্মচারীকে শাস্তি দিতে হবে এবং কলেজে কোন চাকরিতে রাখা যাবে না।সেই ঘটনায় উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে কলেজে।যদিও এই সংগঠন এবং স্টুডেন্টদের পাশাপাশি সরব হয়েছে কলেজেরই একাংশ শিক্ষিকা ও শিক্ষকেরা।সরব হয়েছে কলেজে ছাত্রীদের নিরাপত্তায় থাকা বিভিন্ন সেল গুলি।তারাও রীতিমত অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন মেদিনীপুর কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপককে।মেদিনীপুর কলেজের গ্রিভান্স সেল এবং মহিলা স্টুডেন্টদের সুরক্ষার জন্য গঠিত হওয়া বিভিন্ন কমিটি তারা তাদের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন যাতে অবিলম্বে ওই কর্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।যা নিয়ে ফের আরেক আরজিকরের ছায়া মেদিনীপুর কলেজে ফুটে উঠল এই দিন।যদিও এই ঘটনায় খতিয়ে দেখার আশ্বাস টিচার ইনচার্জ অধ্যাপকের।

এ বিষয়ে ওই পড়ুয়া এক বিবৃতিতে বলে রাতের বেলায় আমাকে ওই কর্মচারী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করত। বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতো নানা রকম,কুইঙ্গিত করত। আমি কেবল জানতে চেয়েছিলাম আমার ফোন নাম্বার উনি কিভাবে পেয়েছেন।যদিও উনি কোন উত্তর দেননি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আমি কলেজ অধ্যক্ষকে জানিয়েছি।

এই ঘটনায় গ্রীভান্স সেল,মহিলা সুরক্ষা কমিটির অধ্যাপিকারা বলেন এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।কিন্তু বর্তমান প্রিন্সিপাল উনি কোন ব্যবস্থাই নেননি।আমরা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছি এবং প্রতিবাদ করেছি।আমরা চাইবো ওই কর্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।

যদিও পুরো বিষয়টা নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস মেদিনীপুর কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক সত্যরঞ্জন ঘোষের।তিনি বলেন অভিযোগ পত্র পেয়েছি যেহেতু আগে ছাত্রী জানিয়েছিল মৌখিকভাবে।যার দরুন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ওই কর্মচারী লিখিত পত্র দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছে, যার দরুন তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল।এরপর আমরা গভর্নিং বডির আলোচনা ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় পদক্ষেপ নেব।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in