নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
বন্যা প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ত্রাতা সেই আশা কর্মীরাই এ রকমই খবর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর অনুযায়ী।এই ঘটনায় আশা কর্মীসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের ভুয়সী প্রশংসা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের।তিনি বলেন এখনো পর্যন্ত ৮০ জন প্রসূতি কে উদ্ধার করেছে এই স্বাস্থ্য কর্মীরা।তাদের সুস্থভাবে রাখা হয়েছে জেলার নব নির্মিত মাদার হাট গুলিতে।
চারিদিকে যখন জল থই থইমানুষ বেরোতে পারছে না তখন স্বাস্থ্য কর্মীদের ভুয়সী প্রশংসা খোদ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারীকের।মূলত গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি সেই সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসমান জেলার শেষ প্রান্ত ঘাটাল সাব ডিভিশন।শুধু ঘাটাল না,সেই সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।প্লাবিত এলাকা দেখতে খোদ ঘাটাল ডেবরা সহ পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে ও দৌড়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি সেই সঙ্গে সমস্ত দপ্তরকে বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে নামার আবেদন জানিয়েছেন।তবে জল বাড়তে থাকায় বেশিরভাগ জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি সাহায্যকারী কর্মীরা।বেশ কিছু জায়গায় ইলেকট্রিক না থাকায় জল কষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে।এই ঘটনার মধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা প্রাণপন লড়ে যাচ্ছেন মানুষের জন্য।সেই তথ্যই দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।যেখানে খোদ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুয়সী প্রশংসা করেছেন এই আশা কর্মীদের নিয়ে।স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলি থেকে গর্ভবতী মহিলাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে।
গত তিন দিনে ৮০ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী।তিনি এও বলেন জেলার নবনির্মিত ‘মাদার হাট’ গুলিতে রাখা হয়েছে তাদের।এরই পাশাপাশি ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মাদার হাট,ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মাদার হাট এবং শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মাদার হাটে এই ৮০ জন আসন্ন প্রসবাকে স্থান দেওয়া হয়েছে।এই কাজে আশা কর্মী ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।পাশাপাশি বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে হাঁটু জল পেরিয়ে সাঁতরে এবং ডিঙি বেয়ে আশা দিদিরা দুর্গতদের একেবারে দুয়ারে পৌঁছে তাঁদের হাতে ওষুধ,ORS তুলে দিয়েছে।এখনো পর্যন্ত ১৯ টি মেডিকেল টিম করা হয়েছে।জেলার ৪৭৬টি ত্রাণ শিবিরে পর্যাপ্ত ওষুধ, ওআরএস এবং অ্যান্টিভেনাম মজুত রাখা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত ১৫ জন কে সাপে কেটেছে যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন,’বন্যাকবলিত এলাকা এবং ত্রান শিবির গুলিতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই পর্যন্ত ১৯টি মেডিক্যাল টিম গড়া হয়েছে।চন্দ্রকোনা,ঘাটাল দাসপুর সহ বিভিন্ন জায়গার স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে।এই বন্যা বিধ্বস্থ পরিস্থিতিতে আশা কর্মীরা রাত দিন এক করে কাজ করছে। জেলায় মোট ৪৭৬টি ত্রাণ শিবিরে পর্যাপ্ত ওষুধ,ORS এবং অ্যান্টিভেনাম মজুত রাখা হয়েছে।তবে সাপে কাটা নিয়ে তার বক্তব্য জেলার দুর্গত এলাকাগুলিতে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন কে সাপে কেটেছে।বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।