নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ভোটের পরেই সজাগ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি জেলার প্রশাসন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং জবর দখল উচ্ছেদে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রশাসন আধিকারিকদের।এরই সঙ্গে হকারদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রেও পুলিশ প্রশাসনের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এক মাসের মধ্যে সরিয়ে না নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার। আর সেই নির্দেশের পরেই মেদিনীপুর শহরে হকার সরানোর পাশাপাশি জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান নামলো মহকুমা এবং পুর প্রশাসন।
গোটা রাজ্যজুড়েই জবরদখল অব্যাহত শুধু রাস্তাঘাট জবরদখল তা নয়, সেই সঙ্গে জলাশয় পুকুর ঘিরে রাতারাতি প্রোমোটারি রাজ আজও চলছে।অন্যদিকে জলাশয় পুকুর ঘিরে অবৈধ বাড়িঘর তৈরি করে ফেলেছেন বহু মানুষজন এবার সেইসব উচ্ছেদ অভিযানে নামল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।এইদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জবরদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধার অভিযানে নামলো প্রশাসন।শুক্রবার মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে,মেদিনীপুর শহরের কেরানিতোলার জেলা ভূমি দপ্তরের পার্শ্ববর্তী মল্লিক পুকুরের আশেপাশে সরকারি জায়গায় বসবাসকারী বেশ কিছু জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়।পাশাপাশি সরকারি জমিতে বসবাসকারী বেশ কিছু মানুষকে এদিন নোটিশও দেওয়া হয়।এই পুকুরের পাশাপাশি গজিয়ে ওঠা প্রায় দুটো বাড়ি দুটো দোকান এবং একটা দোকানের অর্ধেক ভেঙে ফেলে প্রশাসন থেকে। এই জবরদখল উচ্ছেদে নেতৃত্বে ছিল মেদিনীপুর পৌরসভা,মেদিনীপুর মহকুমা প্রশাসন এবং ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা।
মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন সূত্র অনুযায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারের উদ্যোগ এটা।পাশাপাশি পুকুরটি যেহেতু দেবত্ব সম্পত্তি,তাই পুকুরটিকে বাঁচানো প্রশাসনের দায়িত্ব।এই পুকুরটির আশেপাশে দখল করে বসা মানুষদের এদের নোটিশ দেওয়া হয়।কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামো খুলে ফেলা হয়।তবে জবর দখল করে বসবাসকারীদের মধ্যে যদি প্রকৃত দরিদ্র কেউ থাকে, তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
এই নিয়ে সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি বলেন, মেদিনীপুরের কোথাও জবর দখল করে রাখা যাবে না মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে বারবার ধরে বৈঠক সারছেন,নির্দেশ দিচ্ছেন।তাছাড়া এটা দেবত্ব সম্পত্তি এই জলাশয় পুকুরে কোনোভাবেই ঘিরে বাড়িঘর বা অস্থায়ী ছাউনি বানানো যায় না।আমরা আগেই নোটিশ দিয়েছিলাম, ওরা শোনেনি। আজ তাই আমরা ওগুলো উচ্ছেদ করে গেলাম।এরই পাশাপাশি পুকুর দখল করে পাশাপাশি যে বাড়িগুলো আছে তাদেরকেও নোটিশ ধরিয়েছি আগামী দিনের সবকিছুই ভাঙ্গা হবে।
এই নিয়ে মেদিনীপুর পৌর চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা এ কাজ করতে নেমেছি।তবে আমাদের উচ্ছেদদের কথাটা বলবো না।আসলে যারা একের পর এক জায়গা ঘিরে বসে আছে তাদের আমরা সরে যেতে বলছি।এরই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
যদি ওই উচ্ছেদের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জবর দখলকারীরা।তাদের মধ্যে মুশতারী খাতুন বলেন আমরা ফাঁকা জায়গা পেয়েই এই ঘর করেছিলাম।আমাদের বাসস্থান বলতে কিছু নেই কিন্তু আজকে আমাদেরকে প্রশাসনের থেকে এসে ভেঙে দিল এবং সরে যেতে বলল আমরা যাব কোথায়।