নিজস্ব প্রতিনিধি,জামকুন্ডা:
রায়ত জায়গা দখল করে রাতারাতি অবৈধভাবে বিক্রি করা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য এবং জেলা।যদিও তড়িঘড়ি বৈঠক করে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরই সঙ্গে রাতারাতি বদলি করা হয়েছে ভূমি দপ্তরের দায়িত্বে থাকা উপর থেকে নিচ অবধি আধিকারিকদের।যদিও মেদিনীপুর সদরের জামকুণ্ডায় প্রায় ১২ একর রায়ত জায়গা প্রভাবশালী এবং শাসক দলের নেতাকর্মীদের দখলে নিয়ে মুখ খুললেন না খড়গপুর বিধায়ক দিনেন রায়।তিনি গোটা ঘটনা প্রশাসনের উপর চাপিয়ে দায়িত্ব এড়ালেন।
রাজ্যর সঙ্গে জেলায় জমি মাফিয়াদের দাপাদাপি অব্যাহত।গত কয়েকদিন ধরেই আমরা দেখাচ্ছি কিভাবে জামকুন্ডায় ১১ একর ৩২ ডেসিমিল ইউসুফ আলী নামে এক জমি চাষের জায়গা কিভাবে প্রভাবশালীরা দখল করে রাতারাতি বিক্রি করে দিয়েছে।সেই জমি বিক্রির তালিকায় শাসক দলের নেতা কর্মী সহ বিজেপির অভিযোগ ছিল এই জমি দখলের নাম রয়েছে জেলার জনপ্রতিনিধিদের। এই ঘটনায় খোদ ক্ষুব্ধ হয়েছেন জেলার শাসক দলের জেলা সভাপতি।যদিও এই মেদিনীপুর সদরের অন্যদিকে খড়্গপুর গ্রামীণের অন্তর্ভুক্ত এই জামকুন্ডার গ্রামীনের বিধায়ক রয়েছেন তৃণমূলের দিনেন রায়।দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই গ্রামীন থেকে জিতে আসছেন।এদিন তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পুরো বিষয়টা প্রশাসনের উপর দায়িত্ব চাপিয়েই দায় এড়িয়েছেন।তাকে এই জায়গা দখল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”যদি তার নিজস্ব জায়গা হয় তবে সে প্রশাসনকে বিষয়টা জানাবে। তখন প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে।যদিও তার কাছে কেউ এই ধরনের অভিযোগ করেননি বলেও তিনি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।পাশাপাশি এত একরের পর একর জমি দখল নিয়ে তার সাফ বক্তব্য যদি এরকম কোন অভিযোগ আসে বিষয়টা প্রশাসনকে জানাবো এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করবো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,চাষি দাউদ আলির ছেলে ইউসুফ আলীর অভিযোগ অনুযায়ী জামকুন্ডা মৌজায় প্রায় ১১ একর ৩২ ডেসিমেলের মালিক ছিলেন পিতা দাউদ আলী।কিন্তু এই দীর্ঘ ৩০ বছরের মামলা লড়াইয়ের মধ্যিখানে প্রভাবশালী জমি মাফিয়ারা যারা বর্তমানে শাসক দলের ছত্র ছায়ায় রয়েছে তারা রীতিমত প্লট কেটে কেটে বিক্রি করে দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি কে।সেই জায়গায় পেট্রোল পাম্প,আনন্দ বিনোদনের জন্য জলসাঘর,বিভিন্ন বড় বড় বিল্ডিং এবং ঘরবাড়ি তৈরি হয় রাতারাতি।পিতার জায়গা ফিরে পেতে তিনি একের পর এক ভূমি দপ্তর,সদর মহকুমা শাসক, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এমনকি তিনি নবান্ন কেও চিঠি করেন।কিন্তু তাতেও জায়গা উদ্ধার হয়নি।অভিযোগের তীর এলাকার প্রভাবশালী কালু কাজী,মনির কাজী,রবিউল কাজী,মীর এশাক আলী,সাফিরুদ্দিন কাজী, গিয়াসউদ্দিন আলী,আসগর আলী সহ অন্যান্যদের দিকে।
যদিও এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন,সদর মহকুমা শাসক,জেলাশাসক,নবান্ন,ভূমি দপ্তর সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর সেই সঙ্গে হাইকোর্টে দৌড়াচ্ছেন দাউদ আলীর ছেলে ইউসুফ আলী।আবেদন একটাই ফিরিয়ে দিক তার বাবার জমি।