নিজস্ব প্রতিনিধি,কোতবাজার:
১৯৭০-৮০ র দশকে আরব্য রজনীর এক কাহিনী নিয়ে কিছু সিনেমা হয়েছিল।বাংলা সিনেমার নাম ছিল মর্জিনা আব্দুল্লাহ।সেই কাহিনীতে ৪০ জন চোর তারা সমস্ত জেলা রাজ্যে চুরি করে এনে এক গুহায় থাকতেন।যে গুহার দরজা খোলার পিন কোড বা কোড ছিল চিচিং ফাঁক নামক শব্দ।যা বললেই ঘড়ঘড় করে দরজা খুলে যেত এরপর তারা ভিতরে ঢুকে গিয়ে আবার চিচিং বন্ধ বলে দরজা বন্ধ করে দিতেন যাতে আর কেউ এই দরজা খুলতে পারত না এবং তারা তাতেই নিরাপত্তা বোধ করতেন।
এই সিনেমা ৭০-৮০ দশকে মানুষের মন জয় করে এবং সিনেমা জগতে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করে।এবার সেই সিনেমার একটা অংশকে তুলে ধরতে মেদিনীপুর শহরের কোতবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ৭৯ তম বর্ষে ৮ লক্ষ খরচ করে থিম চিচিং ফাঁক।মূলত মণ্ডপে ঢোকার পরই প্রতিমা দর্শন করতে হলে দরজার সামনে বলতে হচ্ছে চিচিং ফাঁক নামক শব্দ।আর যে শব্দ শোনার পরই আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে দরজা।এরপর একে একে করে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করছেন।প্রতিমা দর্শন করছেন এর ভেতরে সেই আরব্য রজনীর কাহিনী সমস্ত চিত্রই বিশেষ করে চুরি করে আনা চোরদের সম্পদ রাখা হয়েছে।সেই সঙ্গে তাদের পাহারা দেওয়ার জন্যে বিষধর সাপের পাশাপাশি বিভিন্ন পশু পাখি রয়েছে।আর তা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শকরা। ছোট থেকে বড় কিশোর থেকে বয়সি সবাই এক বাক্যে বলে উঠছেন চিচিং ফাঁক।
এ বিষয়ে এই পুজো কমিটির ক্লাব কর্তারা বলেন এই পুজো আমাদের প্রাচীন।এই ধরনের সর্বজনীন পুজো খুব একটা নেই মেদিনীপুর শহরে।প্রতিবছরই আমরা থিমের নতুনত্ব আনি।এবার আমরা এই শিশু কিশোর বয়সে,সেই আরব্য রজনী কাহিনী তুলে ধরেছি।কারণ বর্তমানে শিশু-কিশোররা আর কাহিনী দেখে বড় হয় না বরং মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের সামান্য আনন্দ দিতেই আমাদের এই ধরনের থিম।আরব্য রজনীর ওই কাহিনীর একটা অংশ আমরা এখানে তুলে ধরেছি যা দেখার জন্যই প্রচুর দর্শক আসছে এই মন্ডপে।