নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
suci ধর্মঘটে দফায় দফায় অশান্তি জেলা জুড়ে তার বিক্ষিপ্ত ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বাস আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।অন্যদিকে কলেজে পিকেটিং রাস্তা অবরোধ করতে গিয়েও এক প্রস্থ হাতাহাতিতে জড়ায় SUCI ও পুলিশ কর্মীরা।
মূলত আরজিকর কাণ্ডে শুক্রবার সাধারণ ধর্মঘরের ডাক দিয়েছিল SUCI আর এই দিন সকাল থেকে সেই ধর্মঘটের জেরে অশান্তির ছবি দেখা গেল মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। এদিন প্রথমে মেদিনীপুর কালেক্টরেটে প্রস্থ বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়ে এসেছি এবং পুলিশ কর্মীরা সেখানে একটি বাস আটকাতে গিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে।যেই ঘটনায় পুলিশদের সঙ্গে বচসা ও মারধর করা হয় SUCI কর্মীদের বলে অভিযোগ।অন্যদিকে মেদিনীপুর কলেজের সামনেও বনধ সফল করার জন্য যখন তারা মিছিল করে স্লোগান দিচ্ছিলেন তখন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।তাতেও এক প্রস্থ কর্মীরা আক্রান্ত হন।এরই পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত বেলদাতেও এক প্রস্থ গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে পুলিশের সঙ্গে এই SUCI কর্মীরা। এদিন বনধ সফল করতে তারা রাস্তায় নামলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক এবং ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা শেষ পর্যন্ত হাত লাগাতে হয় এবং তাতেও বেশ কয়েকজন এস SUCI কর্মী আহত হন।
সব মিলিয়ে গোটা জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি।যদিও এদিন বনধের তেমন কোন প্রভাব শহর ও জেলায় পড়েনি।স্কুল কলেজ দোকানপাট প্রায় ছিল খোলা।ব্যাংক পোস্ট অফিস সহ যাবতীয় ছিল সচল।রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ও ছিল অনেক।সরকারি বেসরকারি বাস রাস্তায় নামে এবং রীতিমতো যাত্রী নিয়ে তারা যাতায়াত করে।তবে তুলনামূলক অন্যান্য দিনের থেকে এই দিন যাত্রী সংখ্যা একটু কম ছিল।এরই পাশাপাশি প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।অন্যদিকে ধর্মঘট কে ব্যর্থ করতে রাস্তায় বেশ কিছু জায়গায় চোখে পড়ে শাসকদলের ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের।তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় মোড়ে মোড়ে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা পুলিশের বিরাট বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছিল।কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই পুলিশ ছিল সতর্ক সচেতন।