নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
দশ দিনের মাথায় উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে মেদিনীপুর বিধানসভার।যদিও এই উপ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মুখিয়ে আছে শাসক বিরোধীরা।সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে যাবে গণনা।মেদিনীপুরের বিধানসভা তৃণমূলের দখলে কিন্তু এই উপনির্বাচন এবার তৃণমূল দখলে রাখবে না বিজেপি ছিনিয়ে নেবে সেটা এখন দেখার!যদিও তৃণমূল বিজেপি উভয়ের দাবি তারা এবারে নির্বাচনে জয়ী হবেন বিপুল ভোটে।
গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের আর পাঁচটা বিধানসভা এবং সেই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন হয়েছে গত 13 ই নভেম্বর।রাত ফুরোলেই সেই উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।এখন কড়া প্রহরা বন্দি স্ট্রং রুম।যদিও এই উপনির্বাচনে বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়ের দাবী এবারে মেদিনীপুর দখল রাখবে তারা। প্রসঙ্গত,পশ্চিম মেদিনীপুরে মেদিনীপুর বিধানসভা গত 2011 সাল থেকে তৃণমূল দখলে রেখেছে।প্রথমে মৃগেন মাইতি পরে তার মৃত্যু হলে তার জায়গায় দাঁড়িয়ে জিতে যায় অভিনেত্রী জুন মালিয়া।তবে গত 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে জুন মালিয়া সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয় তাই সেই সিটে উপনির্বাচন হয়।সেই উপনির্বাচনই এবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপি বনাম তৃণমূলের।উভয়ের দাবী তারা বিপুল ভোটে জয়ী হবে এবং মেদিনীপুর রাখবে নিজেদের দখলে।
যদিও রাজনৈতিক মহলে মতে শহরের ভোট পরিসংখ্যান কম।তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট গেছে বলে মনে করছে।অন্যদিকে গ্রাম গঞ্জে ও বেশি ভোট পড়েছে তাই এবারে হয়তো এই সিটে দখল করতে পারে বিজেপি।কিন্তু এলাকার পরিচিত দুই মুখ এবং শাসকদলের পরিচিত মুখ কে দীর্ঘদিন ধরেই চিনে আসছে এই মেদিনীপুর বিধানসভার মানুষজন।ফলে এবারের উপনির্বাচনে জুনের সিট নিজেদের দখলেই রাখবে বলে আশাবাদী তৃণমূল।যদিও বিজেপির দাবি এবারের পুলিশ প্রশাসন পুরো মাঠে নেমে ভোট করিয়েছে তবু তারা প্রায় হাজার পাঁচের ভোটে জিতে জয়ী হবেন।
যদিও এদিন তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে নিজেদের কর্মী এবং বিধায়ক সাংসদদের সঙ্গে বসে জয়ের মার্জিন নিয়ে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা।অন্যদিকে খাতা কলম নিয়ে রীতিমতো কর্মীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ব্যস্ত হিসেবে প্রার্থী শুভজিৎ রায়।এখন দেখার ইভিএম এর ফলাফল কোন দিকে যায়।
এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন আমরা যে তার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী।তবে ব্যবধান বিগত দিনের জেতা বিধায়কের মার্জিন কে ছাড়িয়ে যাবে বলেই আমাদের মত।কারণ মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করেছেন তাদের গ্রাম বাংলার মানুষ খুশি।এখানে কোন আরজিকরের প্রভাব পড়বে না।তবে মেদিনীপুরে জিতে তার প্রথম কাজই হবে কাঁসাই নদীর ভাঙ্গন রোধ সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের যানজট এড়াতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায় বলেন,”আর জি করের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে গ্রাম বাংলা এবং শহরে। এবং তাতেই মানুষ ভোট দিয়েছে।মানুষ চাইছে এই দুর্নীতি মুক্ত সরকার গঠন করতে।তাই এবারের ভোটে আমরা পাঁচহাজার বেশি ভোটে হলেও জয়ী হব।তবে জিতে আসার পর প্রথম আমার কাজ হবে সালবনির শিল্পাঞ্চলে দিকে মন দেওয়া সেই সঙ্গে মেদিনীপুরের সৌন্দর্যায়ন সহ কর্মসংস্থান করা।
যদিও অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে তৃতীয় এবং চতুর্থ পজিশনে ছিল কংগ্রেস এবং বামেরা।তারা এবারের নির্বাচনেএকা একা লড়ার ডাক দিয়েছিল।এক্ষেত্রে তারাও দাবিদার যে এবারের নির্বাচনে তারাও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।