নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
স্ত্রীকে ছাড়তে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হলো না বিধায়কের ভাইয়ের।মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তার।এরকমই ঘটনা মেদিনীপুর রেল স্টেশনে।যদিও এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৃণমূল নেতৃত্ব,বিধায়ক খোদ নিজে এবং তার আত্মীয়-স্বজনেরা।মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম এর জন্য পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আবারও অসাবধানতা বা অসচেতনতার বলি এক। চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পা ফসকে ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল রথীন্দ্রনাথ রায়(৬৮) নামে এক ব্যাক্তির।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মেদিনীপুর স্টেশনে।রেল পুলিশ সুত্রে জানা যায়,এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ খড়্গপুর -আসানসোল গামি ট্রেনে রথীন্দ্রনাথ বাবু তাঁর স্ত্রীকে ছাড়তে এসেছিলেন।সেই সময় ট্রেনে উঠে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।এরপরই তড়িঘড়ি চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পা ফসকে ট্রেনের তলায় পড়ে যান রথীন্দ্রনাথ বাবু।ফলত ট্রেনের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।প্রসঙ্গত,মৃত রথীন্দ্রনাথ রায় সম্পর্কে মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভার বিধায়ক তথা MKDA এর চেয়ারম্যান দিনেন রায়ের ভাই।তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং আবাস এলাকার বাসিন্দা।তার স্ত্রী স্নিগ্ধা রায়কে এদিন তিনি সকালে ছাড়তে এসেছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে নামার সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
যদিও এই ঘটনা ঘটার পরে স্ত্রী ট্রেন থেকে নামতে চান কিন্তু অন্যান্য যাত্রীরা তাকে নামতে দেয়নি।পরে ট্রেন থামলে তিনি দৌড়ে আসেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিধায়ক দীনেন রায়,মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান,জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা সহ অন্যান্যরা।ঘটনার পরে রেল পুলিশের তরফে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।এই ঘটনায় শোকের ছায়া শহর জুড়ে।
এই ঘটনায় বিধায়ক দীনেন রায় বলেন ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক।শুনেছিলাম ভাই তার স্ত্রীকে ছাড়তে এসেছিল স্টেশনে। কিন্তু আর তার বাড়ি ফেরা হলো না। অন্যদিকে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন এই ঘটনায় আমরা একপ্রকার শোকাহত। তবে কি কারনে ঘটলো তা খতিয়ে দেখা উচিত এবং রেল কর্তৃপক্ষের আরেকটু সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত ছিল কিনা তাও খতিয়ে রাখা উচিত। অন্যদিকে রেল আধিকারিক ভূপেন্দ্র কুমার যাদব বলেন একজন ব্যক্তি টেনে কাটা হয়ে মৃত্যু ঘটেছে সকালবেলায় আমরা খবর পেয়েছি এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।শুনেছি উনি ওনার স্ত্রীকে ছাড়তে এসেছিলেন স্টেশনে।
মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক কিন্তু আমাদের আরো সচেতন হওয়া উচিত।এতবার ধরে রেল কর্তৃপক্ষ তারা ঘোষণা করে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে,তবুও আমরা সতর্ক হই না।