Midnapore Insident: মেস থেকে দরজা ভেঙে উদ্ধার সোসিওলজি অনার্সের এক ছাত্রীর দেহ!তদন্তে পুলিশ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকার একটি মেস থেকে উদ্ধার হল ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃতদেহ।মৃতার নাম অন্বেষা ভূঁইয়া,বাড়ি সবং থানার বাসুলিয়া গ্রামে।মূলত ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে মেদিনীপুরের শহরের মির বাজারে মেদিনীপুর ছাত্রী নিবাস নামে মেসে থাকতো ওই ছাত্রী।

এই ছাত্রী অন্বেষা মেদিনীপুর কলেজের সোসিওলজি অনার্সের ছাত্রী।শনিবার রাতে দরজা খুলে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।ওই রুমে আরো দুজন থাকতো,তারা একদিন আগেই বাড়ি চলে যায়। সূত্র অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যা থেকে দরজা বন্ধ করে ভেতরেই থাকে ছাত্রী।এরপর রাত্রি নাগাদ তাকে খাবারের জন্য অন্যরুমে থাকা মেসের ছাত্রীরা খাবারের জন্য ডাকাডাকি করতে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে বন্ধ। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখে ওড়না লাগিয়ে ঝুলছে তাদের বন্ধু।তারপরেই শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচিপ্রতিবেশীরাও ছুটে যায়।এই ঘটনায় মেস মালিকসহ ছুটে আসে পুলিশ।প্রথমে ডাকাডাকি তারপর পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর দেহ।পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।তবে ঠিক কি কারণে মৃত্যু তার তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর এবং তার আগে ভেতরের টানা মোবাইলের রিংটোন বেজেই চলছিল।এই ঘটনায় মৃতার বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। মৃতার পরিবার ভেঙে পড়ে শোকে বিহুল হয়।

যদিও এ বিষয়ে রুমমেট তিতলি ঘোড়ই এর বক্তব্য অন্বেষা শান্ত এবং মিশুকে স্বভাবের ছিল। ঘটনার আগে তিনি রাত অব্দি তার সঙ্গে জোর গল্প হয়েছে নানা রকম বিষয় নিয়ে।এখনো মনে হয়নি ওই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।তবে ও কোন একজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করত এটা শুনেছি।

সৌমেন জানা নামে ছাত্রীর এক সম্পর্কিত মামা বলেন এরকম ঘটনা ঘটবে আগে কখনো টের পায়নি।গত বছরই ওকে নিয়ে আসা হয়েছে এই ছাত্রী নিবাসে।এমনিতে শান্ত এবং পড়াশোনায় ভালো এই ছাত্রী।তবে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল তা বলতে পারা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে এই ছাত্রী নিবাসের মালিক শুভজিৎ নাগ জানাই তারা বাকি ছাত্রীদের চেঁচামেচির কথা শুনে দৌড়ে এসেছে এবং তারপরেই তারা পুলিশের খবর দেয়।পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে এই দৃশ্য।আগে কখনো এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি বা এই ছাত্রীর সঙ্গে কারো মনোমালিন্য ছিল না।ওই রুমে আরো দুই রুমমেট ছিল।তারা সকালেই ছুটি থাকায় বাড়ি ফিরে যায়।


Share

dnews.in