Mota Kali:কালী যখন মোটা!তবে মাটির গহনা ছেড়ে মা এখন পরেন রুপোর গহনা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

একসময় এই কালী প্রতিমা মাটির গহনা পরে পুজো নিতেন বর্তমানে উদ্যোক্তারা সেই মাটির গহনা সরিয়ে রুপোর গহনা দিয়ে পুজো করছেন মায়ের। মানিক পুর ভ্রাতৃসংঘের মোটা কালীর পুজো 57 তম বর্ষে পড়লো এই বছর।এবারে পুজো বিসর্জন নানাবিধ অনুষ্ঠান সহ বাজেট ধরা হয়েছে 12 লক্ষ টাকা।

মোটা কালীর আরাধনা

মেদিনীপুরে পুরনো যে কালী পুজো গুলো হত সেগুলোর মধ্যে এখন অন্যতম হল মানিকপুর ভ্রাতৃ সংঘের মোটা কালি।অনেক রকম কালীপুজো হয় এই বিপ্লবী শহর জেলা মেদিনীপুরে।কিন্তু এই কালীর বিশেষত্ব রয়েছে। মূলত তৎকালীন সময়ে যারা ব্যায়ামাবীর বা দেহ সৌষ্ঠব কারী তারা পাড়ায় উদ্যোগী হয়েছিলেন একটি কালী পুজো করতে।সেই আলোচনা মত সবাই একজোট হয়ে শুরু করেন কালীপুজো।যেহেতু তারা দেহ কুস্তিবীর এলাকায় ব্যায়ামাবীর নামে পরিচিত তাই কালী প্রতিমাও করলেন তাদের অনুকরণে।ঠিক যেমন হাত পায়ের পেশী দেখিয়ে দেহসৌষ্ঠব কারীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন ঠিক সেই রকম কালী প্রতিমাও বেশ মোটাসোটা এবং ব্যায়ামাবীরদের মত।আস্তে আস্তে কালীপুজোর নাম হয়ে উঠল মোটা কালী।

এই কালীপুজো এক মেড়ে হতো।গরুর গাড়িতেই প্রথম থেকে কাঠামো তৈরি দিয়ে পরে গরুর গাড়িতে বিসর্জন।এখনো সেই ট্রাডিশন বজায় রেখেছে বর্তমান প্রজন্মরা। এ বছর এই পূজো 57 তম বর্ষে এবারের বাজেট প্রায় 12 লক্ষ টাকা। তবে শুধু কালী প্রতিমা মণ্ডপ নয় এলাকার নানাবিধ অনুষ্ঠান এবং বিসর্জন নয় সেইসঙ্গে মাকে প্রায় রুপোর গহনা দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে।মূলত এই ট্রাডিশনটা গত দুবছর ধরে করছেন এখনকার উদ্যোক্তারা।যদি একসময় এখানে একটি ফাঁকা মাঠে পুজো হতো।তবে জায়গা জমি জটে আটকে সেই পুজো স্থানান্তরিত হয়েছে।এখন চলছে কালী প্রতিমার শেষ পর্যায়ে রং এর কাজ।এরপরই পূজো হবে এই প্রতিমার।

এ বিষয়ে ক্লাব কর্তা চন্দন চৌধুরী বলেন,”আমাদের এই কালীপুজো মূলত মোটা কালী নামে এই জেলা শহরে পরিচিত তার একটাই কারণ তখন যারা এলাকার কুস্তিবীর ছিলেন তারা এই কালী পূজার সূচনা করেছিলেন।যেহেতু তারা ব্যায়াম করতেন দেহ সৌষ্ঠবে অংশগ্রহণ করতেন তাই তাদের কালি প্রতিমা ও তাদের মত।সেই থেকেই এক মেড়ে এবং গরুর গাড়ির উপরেই এই কালী প্রতিমা হয় এবং বিসর্জন যায়।আমরা এই কটা দিন নানাবিধ অনুষ্ঠান রেখেছি,এই পূজো উপলক্ষে।

এখন অপেক্ষা কালীপুজোর।কালী পূজার উৎসবে মেতে উঠবে বাংলা বাঙালি সহ গোটা রাজ্যের সঙ্গে জেলা বাসি।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in