নিজস্ব প্রতিনিধি,মাতকাতপুর :
দীর্ঘ দিনের দাবি দাওয়া মেনে অবশেষে ৩০৫ কোটির দুটি ব্রিজ হচ্ছে মেদিনীপুরে।এখন চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি কিন্তু এই ব্রিজের দরুন দোকান ভেঙে ফেলার আশঙ্কায় মাতকাত পুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।পুনর্বাসনের দাবিতে জেলা শাসকের কাছে দরবার।দাবি আলাদা ব্যবস্থা করে দেওয়ার।
একদিকে আনন্দ হচ্ছে।আনন্দ হওয়ার কারণ দীর্ঘদিনের দাবি-দাওয়া মেনে মোহনপুর ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজে তৈরি হতে চলেছে আর তাতে যোগাযোগ যেমন ভালো হবে সেইসঙ্গে মানুষের যাতায়াত বাড়বে ফলে বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্য।কিন্তু এরই সঙ্গে আশঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।কারণ এই পুরনো ব্রিজের জায়গায় নতুন ব্রিজ গড়তে গেলে তার জায়গায় ভেঙে ফেলতে হবে তাদের দীর্ঘদিন ধরে করে আসা চা পান সহ খাবারের দোকানগুলি।আর যার ফলে ব্যবসা পত্র হারিয়ে জীবন জীবিকার আশঙ্কা প্রায় ১০৫ টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।এরকমই ঘটনার মুখোমুখি মেদিনীপুর শহর ও জেলার মাতকাতপুরের বাসিন্দাদের।
এই দোকানগুলি ভেঙে ফেললে যাতে তাদের নতুন দোকান দিয়ে পুনর্বাসন দেওয়া হয় তারই দাবিতে এই দিন জেলাশাসকের কাছে দাবি-দাওয়া নিয়ে এলেন এক প্রতিনিধি দল।তারা তাদের দাবি দাওয়া সম্মিলিত কপিগুলি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেন এবং দাবি জানান অবিলম্বে তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার। কারণ তাদের একমাত্র জীবন জীবিকা হলো এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দোকানগুলি।বাড়ির যাবতীয় পুঁজি ছিল তা ভেঙে ব্যবসাতে লাগানো হয়েছে। কিন্তু সেই ব্যবসা দোকান ভেঙে দিলে তাদের না খেতে পেয়ে রাস্তায় বসতে হবে। এই দাবিতেই তারা জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করেন এবং দাবি কপি গুলি তুলে দেন।
এই দিন মাতকাতপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অঞ্জন চন্দ্রর তরফ থেকে জানানো হয় এই ব্রিজ করলে সবার সুবিধা। আমাদেরও আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের ব্যবসার দিকটাও দেখতে হবে সরকারকে। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি পত্র পৌঁছে দেওয়া হোক এবং আমাদের পুনর্বাসন দিক সরকার।যাতে আমরা অন্তত এই ব্যবসা করে খেতে পারি বাকি জীবনটা। এরই সঙ্গে একটি ইরিগেশনের জায়গা পড়ে রয়েছে।সেই জায়গায় আমরা আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার। মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই আবেদনই আমরা রাখব