Nirdal Nomination:একা মনোনয়ন জমা দিতে এসে ফেঁসে গেল নির্দল প্রার্থী!বাজনাদার কে প্রস্তাবক হিসেবে উত্থাপন করে মনোনয়ন জমা দিতে এসে গন্ডগোল

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবে বলে ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আসার পর জেলাশাসকের দপ্তরে প্রবেশের পর বেঁকে বসলেন বাজনাদাররা।অভিযোগ প্রস্তাবক হিসেবে সই করার জন্য ১০০০০ টাকা নেওয়ার পরে বেঁকে বসেছেন সেই প্রস্তাবকেরা।সেই টাকা ফেরত চেয়ে প্রস্তাবকদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নির্দল প্রার্থী।এমনই একটি ঘটনা ঘটলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।যদিও ওই প্রস্তাবকদের দাবি তারা বাজনা বাজানোর জন্য এসেছিল।

নির্দল প্রার্থী

নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী এবং অভিনেতা হিরনের বিরুদ্ধে। কিন্তু লোক জোগাতে পারেননি।একা এবং বাজনাদার কে প্রস্তাবক হিসেবে এনে ফেঁসে গেলেন নির্দল প্রার্থী।কারণ বাজনাদাররা কেবল বাজনা বাজানোর টাকা নিয়েছেন প্রস্তাবক হিসেবে নয় বলে দাবি বাজনাদারদের আর সেই গন্ডগোলে এলাকা ছাড়লেন নির্দল প্রার্থী।ঘটনা সূত্রে জানা যায় ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন ঘাটালের রঘুনাথচক এর বাসিন্দা গোপাল মন্ডল।সে তার জমানো ২৫ হাজার টাকা দিয়ে নিয়ম মেনে গত ২৯ এপ্রিল ডিসিআর কেটেছিল।এইদিন তিনি তার ১০ জন বাজনাদার কে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে ছুটে আসেন মেদিনীপুরে।এই বাজনাদার ছিল ঘাটালের জিতেন দাস নামে এক ব্যক্তির টিম।নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী এদিন তিনি কালেক্টরেটে প্রবেশ করেন কিন্তু প্রবেশ করার পরেই সমস্যা শুরু হয় তার এই বাজনাদারদের সঙ্গে।

কারণ নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে গেলে প্রস্তাবক লাগে।সেক্ষেত্রে তিনি বাজনাদারদের ভোটার কার্ড নিয়ে প্রস্তাবক হিসেবে সই করাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।আর তখনই বিগড়ে যায় এই বাজনাদাররা। বাজনাদারদের বক্তব্য তারা বাজনা বাজানোর জন্যই তার সঙ্গে চুক্তিপত্র হয় ১০০০০ টাকায়।কিন্তু ক্যান্ডিডেট তাদেরকে ভেতরে ঢুকিয়ে সই করার জন্য দাবি করে।কিন্তু তারা সই না করাতেই বেঁকে বসে ক্যান্ডিডেট,যা নিয়েই শুরু হয় গন্ডগোল।চুক্তি অনুযায়ী বাজনাদারদের খাওয়ার খরচও বহন করতে হবে।যা এ নির্দল প্রার্থী দেয়নি তাদের। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায় এবং মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে এলাকা ছাড়েন নির্দল প্রার্থী।

এই বিষয়ে নির্দল প্রার্থী গোপাল মণ্ডল বলেন,”নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলাম।প্রস্তাবক হিসেবে দশ জনকে সাথে নিয়ে এসেছিলাম।এর জন্য দশ হাজার টাকা নিয়েছিল ওই জিতেন দাস এর বাজনাদার টিমেরা।কিন্তু টাকা নেওয়ার পর এখানে এসে বলছে তারা সই করবে না।কিন্তু সঙ্গে ভোটার কার্ড নিয়ে এসেছে।আমার থেকে দশ হাজার টাকা নিয়েছে সেটা ফেরৎ দিচ্ছে না। পাশাপাশি তিনি এও বলেন,”আমি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করি।বাড়িতে পরিবার রয়েছে।আমি এলাকার বাসিন্দা তাই এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। তবে দুজন তারকা প্রার্থী সেখানে নির্দল প্রার্থী কেন উত্তরে জিতেন বলেন, সব চোর,এলাকায় থাকে না কেউ।

অন্যদিকে বাজনাদার জিতেন দাস বলেন,”আমার সাথে কথা হয়েছিল বাজনা বাজানোর।সেই মতো বাজনা নিয়ে এসেছি।কিন্তু বাজনা বাজাতে হয়নি এরই সঙ্গে ভোটার কার্ড আনতে বলেছিল,না হলে ঢুকতে দেবে না।সেই জন্য এনেছি।এখানে এসে বলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সই করতে হবে।আমাদের কাজ বাজনা বাজানোর। তাই টাকা ফেরত দেবো না।বাজনা বাজাতে বললে বাজিয়ে দেবো।”


Share

dnews.in