নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার নানা অসঙ্গতি নিয়ে খোলা চিঠি দিল স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের রাজ্য সংগঠন (SACT) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।গত বছর থেকে রাজ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে।কিন্তু এই পঠনপাঠনে নানা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে এই (SACT) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন তাই চিঠি।
প্রসঙ্গত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন শিক্ষানীতি চালু হলেও সেই নীতি অনুযায়ী এখনো পুরো চার বছরের সিলেবাস প্রণীত হয়নি।মাত্র দুটি সেমিস্টারের সিলেবাস চালু হয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক সকলেই একটি অস্বস্তি বোধ করছেন।অন্যদিকে রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমতুল্য সিলেবাস না হলে অস্বস্তিতে পড়বেন লেখক ও প্রকাশকগণও।তাঁরা বই লেখা বা প্রকাশের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়বেন।এর ফল ভুগতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।এর ফলে স্টাডি মেটেরিয়াল এর একান্ত অভাব হতে বাধ্য।একই সঙ্গে পাঠ্য বিষয়ে প্রশ্নের ধরন বা নম্বর বিভাজন নিয়েও ধন্দে আছে ছাত্রছাত্রীরা।তাদের এও অভিযোগ একই প্রশ্নপত্রে একই বিষয়ের প্রশ্ন বিভিন্ন গ্রুপে দেওয়া হচ্ছে। নেই কোনো মডেল প্রশ্ন? তাছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও নানা সমস্যা।আগে প্রশ্ন রাখা হতো থানায়।পরীক্ষার সকালে প্রশ্ন কলেজে আসতো।কিন্তু এখন সরাসরি প্রশ্ন আসে কলেজে। ফলে এখানে প্রশ্ন ফাঁস হবার সম্ভাবনা প্রচুর। এরই সঙ্গে সমস্যা রয়েছে খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও। বারবার একই ভেন্যুতে পরীক্ষা হচ্ছে,সেই কলেজের পরীক্ষকরা মূল্যায়ন করছেন ও অনলাইনে নম্বর পাঠিয়ে দিচ্ছেন।যার ফলে স্ক্রুটিনি আদৌ হচ্ছে না।যদিও করোনা পূর্ববর্তী পর্যায়ে এবিষয়ে একটি মান্য পদ্ধতি ছিল।এই বিষয় গুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলেই মনে করছেন স্যাকটোয়ার রাজ্য কমিটি।
এই বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, এগুলির ওপর ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে। আশা করি উপাচার্য মহোদয় দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন।সেই সঙ্গে তিনি জানান,রাজ্যের মধ্যে দুই মেদিনীপুর জেলায় এডেড কলেজের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।ফলে সব কলেজেই স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সংখ্যা অধিক।তাই উপাচার্যের কাছে সংগঠন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে,যাতে কলেজের টিচার্স কাউন্সিলে এই শ্রেণির শিক্ষকদের প্রতিনিধি থাকেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।প্রকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে টিচারস কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কলেজ টিচারগণের থাকা বাঞ্ছনীয়।