নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এই প্রথম জেলাতে মেগা বাইক লাইসেন্স এবং লার্নার মেলা।একইসঙ্গে একই ছাদের তলায় দ্রুত লাইসেন্স প্রদানের উদ্দেশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এই মেলার আয়োজন করল জেলা পুলিশ।যদিও এই মেগা মেলায় এসে পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ইয়াং যুবক যুবতী সহ বাইক চালকদের।অন্যদিকে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বললেন ঝামেলামুক্ত চটজলদি লাইসেন্স প্রদানের উদ্দেশ্যেই এই মেগা মেলার আয়োজন জেলাতে।
প্রসঙ্গত,ভোটের আগে সরকারি প্রকল্প যাতে সর্বসাধারণ মানুষ অতি সহজে পেতে পারে এবং হাতে হাতে পেতে পারে তার জন্য শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প।এই প্রকল্পে গ্রাম গঞ্জের মানুষজন তার এলাকাভিত্তিক ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিলেন।যার ফলে উপকৃত হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ এই রাজ্যের।এবার গাড়ির দুর্ঘটনা কমাতে সেই সঙ্গে গাড়ি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দুয়ারে লাইসেন্স একটি মেগা মেলার আয়োজন করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। মূলত সাত দিন ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে জেলা পুলিশ লাইনে।এদিন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের হাত ধরে উদ্বোধন হয় এই মেলার।ভোরবেলা থেকে মেদিনীপুর শহর ও আনুষাঙ্গিক এলাকা থেকে কয়েক হাজার ইয়ং যুবক-যুবতী ভিড় জমান এই পুলিশ লাইনে মাঠে। অনেকেই বাইকের লাইসেন্সের পাশাপাশি চার চাকা লাইসেন্সের জন্য দৌড়ে আসেন।যদিও অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ের লার্নার প্রদান করবে এই জেলা পুলিশ।
পরবর্তীকালে সেই লার্নার থেকে লাইসেন্স পাবেন প্রাপকরা।মূলত এই বাইক লার্নারের জন্য অতি স্বল্প মূল্য ধার্য করা হয়েছে,যা মূল্য রাখা হয়েছে ২৪০ টাকা।অন্যদিকে চার চাকার গাড়ির লার্নার এর জন্য মূল্য ধরা হয়েছে ২৪০ টাকা।এরই সঙ্গে যদি কেউ একসঙ্গে দুই চাকাও চার চাকার লাইসেন্স করে তার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৩৬০ টাকা।যদিও এই দিনের এই মেগা মেলাতে হাজার হাজার ইয়ং যুবক-যুবতী লাইন দেন।তবে তারা দীর্ঘ ১২ টা অব্দি দাঁড়িয়ে থাকার পর ক্ষোভ দেখান।কেননা এত মানুষের কে ডেকে সেই পরিমাণে পরিকাঠামো ছিল না পুলিশ লাইনে।কম্পিউটারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ছিল অতি স্বল্প সংখ্যক যার ফলে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন ইয়াং যুবক যুবতী সহ বাইক ও চার চাকার বাহন চালকরা।
এই নিয়ে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এদিন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বলেন,”মূলত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো এবং অনুপ্রেরণা প্রেরণায় এই ধরনের মেগা মেলার আয়োজন প্রথম করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।আজ থেকে এই মেলা শুরু হল চলবে সাত দিন ধরে।আমরা চাইছি ইয়ং যুবক যুবতী সহ যারা বাইক নিয়ে ঘোরেন বিনা লাইসেন্সে তারা যেন সঠিক এবং সরকারি লাইসেন্স অতি সহজে পান এবং সেই লাইসেন্স নিয়েই নির্ভয়ে বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন।এর ফলে একদিকে যেমন তাদের মনে ভয়ভীতি কাটবে,তেমনি কমবে দুর্ঘটনা। আমরা প্রায় দশ হাজার মত লার্নার দেব এই সাত দিনের মেলাতে।