নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এইবারে কালী পুজোতে প্রদীপ নিয়ে আসুন তাও আবার মিষ্টির।এরকমই ইউনিক ভাবনা চিন্তা নিয়ে প্রদীপ ও ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে তিলক মিষ্টি তৈরি করল মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মিষ্টি মহল।তবে এই তিলক কপালে নয় বরং প্লেটে পরিবেশন করে ভাইকে উপহার দেওয়া যাবে।
মাঝে মাত্র একটা দিন এর পরেই বাংলা আর বাঙ্গালীর আরেক শ্রেষ্ঠ উৎসব কালী পুজোতে মেতে উঠবে গোটা ভারতবর্ষের সঙ্গে পশ্চিমবাংলা।আর এই কালীপুজো উপলক্ষে এখন চলছে চারিদিকে পূজো প্রতিমা প্যান্ডেলের প্রস্তুতি।মূলত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় সরিয়েই পুজোয় মেতে উঠতে চলেছে আপামর বাঙালি।তবে কালীপুজো উপলক্ষে এবার কিছুটা ভিন্ন স্বাদের মিষ্টিতে নতুনত্ব আনলো মেদিনীপুরের পঞ্চুর চকের মিষ্টি দোকান মিষ্টি মহলে কালী পুজোতে তাদের এবারের নতুন ভাবনা চিন্তা মিষ্টির প্রদীপ। মূলত এই প্রদীপ জ্বালানো যায় না এই প্রদীপ জ্বালিয়ে বাইরে রাখা যায় না এই প্রদীপ উপহার দেওয়া যায় এবং পুরোটাই খাওয়া যায়।এরই সঙ্গে ভাই ফোঁটা উপলক্ষ্যে তিলক দেওয়ার জন্য দুই রঙের ভিন্ন কালারের তিলক মিষ্টি তৈরি করেছে এই মিষ্টি দোকান।যা নিয়ে এক নতুন উৎসাহ মেদিনীপুরের এই মিষ্টি মহলে।মূলত প্রতিবছর এবং বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ক্ষেত্রে এক নতুনত্ব এনে দেয় এই মিষ্টি মহলের মিষ্টি ব্যবসায়ী।
দুই বোনের এই ব্যবসা।তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর দোকানের দায়িত্ব পড়ে উত্তরসূরী দুই মেয়ে মেঘাশ্রী ও শিল্পাশ্রীর উপর।ফলে মেদিনীপুর বাসি এবং শহর জেলা সহ রাজ্যের মানুষকে মিষ্টির নতুনত্ব দেওয়ার জন্যই প্রতিবছর তারা বিভিন্ন স্বাদের রকমারি মিষ্টি তুলে ধরেন।এবারে কালীপুজো উপলক্ষে তাদের এই নতুন মিষ্টি নজর কাড়ছে জেলায়। এবারে তাদের নতুনত্ব মিষ্টির মধ্যে প্রদীপ সন্দেশ,তিলক সন্দেশের পাশাপাশি রয়েছে গোলাপ কেশর রাবড়ি, নবদ্বীপের ক্ষীরদই এবং মাখা সন্দেশ। প্রদীপ মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে কুড়ি টাকা,তিলক মিষ্টির বারো টাকা।
এ বিষয়ে এই দোকানের মালকিন শিল্পাশী গুহ বলেন,” প্রতিবছরই আমরা মিষ্টির ক্ষেত্রে এক নতুনত্ব স্বাদ এনে দিয়ে মেদিনীপুরের মানুষজনের জন্য।এবারও তার ব্যতিক্রম থাকছে না.তাই এই প্রদীপ ও তিলক মিষ্টি।যে প্রদীপ জ্বালানোর পরিবর্তে খেতে পারবেন মানুষজন।
অন্যদিকে দিদি মেঘাশ্রী গুহ ব্যানার্জি বলেন,” ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি উপহার দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য।এবারে তাই আমরা প্রায় চার রকম নতুন মিষ্টি নিয়ে এসেছি মেদিনীপুরের শহর ও জেলার মানুষজনের জন্য।মূলত মানুষ অন্ধকার থেকে দূর করতে আলোর উৎস হিসেবে প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকেন।আমরা সেই প্রদীপ মিষ্টি এনেছি এই সঙ্গে ভাই ফোঁটাকে সামনে রেখে আমরা তিলক মিষ্টির আয়োজন”।