নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
এখন চলছে পূজোর মরশুম।সবে দূর্গা পুজোর পর শেষ হয়েছে লক্ষ্মীপূজো।সামনেই দেওয়ালি এবং কালী পুজোতে মেতে উঠবে বাঙালি সহ বাংলার মানুষ জন।তবে এই দেওয়ালির এক অন্যতম আকর্ষণ হল জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের এই মাটির গড়া দেওয়ালি পুতুল। রং দাম বৃদ্ধির মধ্যেও সেই পুতুল গড়ছেন কুমোর পাড়া কারিগররা।
মূলত এখানকার স্থানীয় মানুষজন এই কালীপুজো,দেওয়ালী উপলক্ষে মাটির দেওয়ালি ঘর বানায় নিজেদের বাড়িতে।মাটির দেওয়ালি ঘরে এই মাটির দেওয়ালি পুতুলে আলো জ্বেলে উৎসব মানিয়ে চলে আসছে পূর্বপুরুষ ধরে।এই পুতুলের সঙ্গে মাটির সরা করে দেওয়া হয় নানারকম প্রসাদ, ধূপধুনা এবং নৈবেদ্য।আজও সেই নস্টালজিয়ার দেওয়ালি পুতুল পেশা আঁকড়ে রেখেছে এই কুমোর পাড়ার কারিগররা। যদিও দিনের পর দিন মাটির দাম,খড়ের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি যেমন কাঠের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সঙ্গে এবছর বেড়েছে রং এর দাম। আর তাই দেওয়ালি পুতুল করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এই শহরের কুমোর পাড়ার কারিগররা।এই আর্থিক সংকটের মধ্যেও তারা তাদের পূর্বপুরুষ ধরে চলে আসা পেশা কে কোন রকমে টিকিয়ে রেখেছে।আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হতেই তারা রীতিমত রংয়ের কাজে নেমে পড়ে।দেওয়ালি পুতুল আগুনে পুড়িয়ে রং করে নিচ্ছেন এরই সঙ্গে চলছে তার উপর আঁকিবুকি আঁকার কাজ।
আর এই দেওয়ালি পুতুল প্রস্তুতে হাত লাগিয়েছে বড় থেকে ছোটরা।দেওয়ালি এবং কালীপুজা উপলক্ষে এ বছর এই কুমার পাড়ার বেরা পরিবার হাজার খানেক দেওয়ালে পুতুল তৈরি করেছে। যা ইতিমধ্যেই তাদের হাত ধরে পাড়ি দিতে চলেছে জেলার ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে।বড় বড় হোলসেলারের পাশাপাশি ছোট ছোট ক্রেতারা সেই দেওয়ালি পুতুল কিনে নিয়ে যায় নিজেদের বাড়িতে।এই দেওয়ালি পুতুলের মধ্যে রয়েছে এক প্রদীপ,দু প্রদীপ,চার প্রদীপ সহ প্রায় ২৫ প্রদীপের আইটেম।অন্যদিকে এক হাতা দুহাতা সহ ১০ হাতার দেওয়ালি পুতুল রয়েছে রীতিমতো কুমোর পাড়ার কারিগরদের কাছে।এরই সঙ্গে এবছর প্রায় দু ফুটের বড় দেওয়ালি পুতুলও তৈরি করছেন তারা।এখন অপেক্ষার দেওয়ালি এবং কালীপুজোর।