নিজস্ব প্রতিনিধি,নারায়নগড়:
জনসংযোগ কর্মসূচির করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত নারায়ণগড় বিধানসভায় এলেন জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদেরী ও পুলিশ ধৃতিমান সরকার।সরকারি অফিসে না বসে তারা গাছ তলায় বসে শুনলেন এলাকার মানুষের সকল রকম সমস্যা।কারো বার্ধক্য ভাতা হচ্ছে না তো কারো বিধবা ভাতা,কারো বা কন্যাশ্রী টাকা ঢোকেনি কারো কারো শংসাপত্র এখনো হয়নি।এরই সঙ্গে বেহাল রাস্তার অভিযোগ ও শোনেন তারা কর্মসূচির শেষ পর্বে কিছু শংসাপত্র তুলে দিয়ে যান এলাকার মানুষের মধ্যে।
প্রায় কুড়িটি সরকারি পরিষেবা ও স্থানীয় মানুষের অন্যান্য সমস্যার সমাধান নিয়ে সমস্যা সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচি করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার।শনিবার নারায়ণগড় ব্লকের মেট্যাল জনকল্যাণ নিহারবালা শিক্ষা সদন চত্বরে বসে এই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এই দুই প্রশাসনের আধিকারিক।বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বটগাছের নীচে চাতালে বসে জনসংযোগ সারতে দেখা যায় জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে।মূলত এই এলাকার লোধা সম্প্রদায়ের বসবাস।তাই সেই সব মানুষের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকেরা।তাদের শুনতে হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর থাকলেও কার্ড নেই,নেই জাতিগত শংসাপত্র।ফলে তারা সেই সব সরকারি পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন,এমন অভিযোগ শুনতে হয় জেলাশাসককে।
একই সঙ্গে এলাকার কয়েকটি বেহাল রাস্তা সংস্কারের কথাও শুনতে হয়েছে।অন্যদিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা বেহাল সেই অভিযোগও পেয়েছে প্রশাসন। এদিন হাতের কাছে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক কে পেয়ে এলাকার মানুষ ঘিরে ধরেন এবং সকল সমস্যার কথা বলা শুরু করেন।যদিও সেই সমস্যাগুলোও একাগ্র মনে শুনতে দেখা যায় এই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে।যদিও এই অনুষ্ঠান এর শেষ পর্বে এসে এলাকার মানুষের মানবিক ভাতা,বার্ধক্য ভাতা,বিধবা ভাতা,কন্যাশ্রী প্রকল্প,জাতিগত শংসাপত্র-সহ একাধিক পরিষেবা প্রদান করেন জেলাশাসক।
এইদিন কর্মসূচি শেষে জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসসি,এসটি ও সংখ্যালঘু এলাকায় মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে ও সমস্যা শুনতে এই কর্মসূচি।খুব তাড়াতাড়ি সমস্যাগুলি সমাধান হয়ে যাবে।এদিন তিনি বিডিওকে এলাকায় জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের জন্য বিশেষ ক্যাম্প মেডিক্যাল ক্যাম্প করা ও দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রদানের কড়া নির্দেশ দিয়ে যান।