নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব মেদিনীপুর:
এখন চলছে বিজেপির সদস্যতা সংগ্রহ অভিযান আর সেই সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পাতায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নাম যা নিয়ে বিতর্ক পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে।তৃণমূলের দাবি,এইসব চক্রান্ত করায় বিজেপির কাজ,তারা এভাবেই কুৎসা রটাচ্ছে।অন্যদিকে বিজেপির দাবি,তলে তলে বহু তৃণমূল নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছে।তাই কেউ কেউ সদস্য সংগ্রহে নিজের নাম লিখিয়েছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হয়েছে।আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।পাশাপাশি থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।যা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা 1 ব্লকের ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বরদা গ্রামের।দেখা যায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল বেরার ছবি দিয়ে বিজেপি দলের সদস্যতায় নাম নথিভুক্তিকরণ হয়েছে।আর সেই ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।যা নিয়েই শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও তৃণমূল নেতা গোপাল বেরা দাবি করেছেন যে,”তিনি 1998 সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে ও নিষ্ঠার সাথে তৃণমূল করে আসছেন।কখনো তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, আবার কখনো তৃণমূলের এগরা 1 পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ,আবার কখনো জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব সামলেছেন।
টানা প্রায় 20 বছর তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জেতে নির্বাচিত হয়েই জনপ্রতিনিধি হয়েছেন।গোপাল বেরা আরও জানান,সুজিত মিশ্র নামে এক ব্যক্তি বিজেপির মেম্বারশিপের একটি কপি স্ক্রিনশট করে তাঁর ছেলের মোবাইলে এবং ফেসবুকে পোস্ট করেছে।আমি কিন্তু কখনই বিজেপিতে নাম লেখাই নি।খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।বিষয়টি নিয়ে আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি৷এদিন এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বরা।এই নিয়ে দলের ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন,”এটাই বিজেপির প্রকৃত চরিত্র।তাঁরা বেছে বেছে আমাদের দলের সক্রিয় নেতা ও কর্মীদের তাঁদের দলে সদস্য করাচ্ছে।বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তাঁরা এসব করছে।যদিও অন্যদিকে এগরা 1 নং ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু নায়ক জানিয়েছেন,বিজেপি কখনও তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছে।আবার কখনও আমাদের বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতির বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করছে।এটা ছাড়া আর কোন কিছু ইস্যু নেই তাদের কাছে।
আগামী ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে আবার 250 আসন নিয়ে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে।আর তখন বিজেপি বাংলা থেকে মুছে যাবে।তবে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করতে একেবারে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির।বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার ইনচার্জ অরুপ দাশ জানিয়েছেন,”তৃণমূলের অনেকেই- কেউ ওপেনে,আবার কেউ বা গোপনে আমাদের সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ রাখছেন।তিনি এও বলেন এখন বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে।
সারা দেশে যে কেউ বিজেপির সদস্য হতেই পারে।কারোর হয়তো ভালো লেগেছে তাই তিনি সদস্য হয়েছেন।আগামী ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে এগরা বিধান সভায় তৃণমূল হারবে।তাই তারা এসব নাটক করে বেড়াচ্ছে।