নিজস্ব প্রতিনিধি,পলাশী:
রাত ফুরোলেই স্বাধীনতা দিবস আমাদের ভারতবর্ষের।এই উৎসব উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করবে বিভিন্ন স্কুল সংঘ সংগঠন ক্লাব ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।এরই পাশাপাশি পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর কচিকাঁচারাও পতাকা উত্তোলন করবে এই বিশেষ দিনে।তবে তার আগেই পরিবেশবান্ধব পতাকা তৈরি করল এই খুদে পড়ুয়ারা।এরই পাশাপাশি তারা এক হাজার পরিবেশবান্ধব রাখি তৈরি করল লাউ কুমড়ো ও তেঁতুলের বীজ দিয়ে।
প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও মেদিনীপুর সদর ব্লকের পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় পতাকা ও রাখি তৈরীর একটি কর্মশালা।এই কর্মশালায় কচিকাঁচারা প্রায় একহাজার রাখি ও দেড়শটির মতো জাতীয় পতাকা তৈরি করেছে।পরিবেশবান্ধব ফুল ফলের বীজ দিয়েই তৈরি হয় এই পরিবেশবান্ধব রাখি ও জাতীয় পতাকা।যে রাখি ব্যবহার করার পর আবার পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাবে।আর সেই রাখি তৈরি করতে উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে এই কচি কাঁচাদের মধ্যে।কচিকাঁচাদের কথায় “শনিবারের আনন্দ পরিসরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয়রা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে আমরা তাই আজ খুব সহজেই আনন্দ সহকারে এগুলো বানাতে পারছি”।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌম্য সুন্দর মহাপাত্র মহাশয়ের কথায়,”হাতে-কলমে শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী যেমন হয় ঠিক তেমনি শেখার ভিতও মজবুত হয়”।
পার্শ্বশিক্ষক শিক্ষিকা গোপীনাথ বাস্কে ও মামনি বেসরা জানালেন,”কচিকাঁচারা নিজের হাতে জাতীয় পতাকা গুলি তৈরি করছে এবং সেগুলি নিয়ে তারা প্রভাত ফেরিতে অংশ নেবে এটা কচিকাঁচাদের কাছে যেমন আনন্দের ঠিক তেমনি প্রত্যেক বছর এটা দেখে আমাদের খুব ভালো লাগে”।সহশিক্ষক কৌশিক কুমার লোধ ও অসীম কুমার মন্ডল বললেন “আমাদের কচিকাঁচারা আজ চিরাচরিত রাখির পাশাপাশি ফেলে দেওয়া জিনিস ও সংগৃহীত বিভিন্ন বীজ যেমন তেঁতুল,লাউ,কুমড়ো,পুরুল ও ধান দিয়ে রাখি তৈরি করেছে।এর মাধ্যমে কচিকাঁচাদের বার্তা দেওয়া হয়েছে গাছ আমাদের বন্ধু”।