নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
দু বছরের মধ্যেই স্বপ্ন ভঙ্গ!মেদিনীপুর পৌরসভা এবং ১৫ নং নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্র ব্যানার্জি সেতুর গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে পড়ল হুড়মুড়িয়ে। যদিও এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের উপর এবং কন্টাক্টরের উপর দোষ দিয়ে দায়িত্ব সেরেছে মেদিনীপুর পৌরসভা ও এলাকার কাউন্সিলর।তবে বিজেপির বক্তব্য আমরা তখন এর প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু শুনেনি পৌরসভা বা প্রশাসন।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকঢোল পিটিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে উদ্বোধন হয়েছিল ভীমচক খালের উপর পাকাপোক্ত পিলার দিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামচন্দ্র ব্যানার্জীর নামে একটি সেতু।এই সেতু উদ্বোধনে এসেছিলেন তৎকালীন বিধায়িকা জুন মালিয়া।তড়িঘড়ি ১৫ নং ওয়ার্ডে উদ্বোধন করা হয়েছিল এই যোগাযোগের মাধ্যম এবং সঙ্গে একটি জনসাধারণের জন্য পাবলিক টয়লেট ও ফেনশিং দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল এই নালার উপর সেতুটি।যদিও সে সময় অনেকে এর সুনামও করেছিলেন।কিন্তু গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টিতে হঠাৎই সেতুর নিচের গার্ড ওয়াল ধসে পড়ে।তারই ভাঙ্গন দেখা দেয় পুরো সেতুর উপরে পর্যন্ত।অন্যদিকে পাবলিকের জন্য তৈরি করা এই টয়লেটটি ও ভগ্ন দশায় পড়ে রয়েছে।যেকোনো মুহূর্তে চলে যাতে পারে জলের তলায় এরকমই আর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সহ বিরোধীরা।এরই পাশাপাশি বিরোধীদের অভিযোগ এই নালা দীর্ঘদিন ধরে নোংরা বালি জমে ভর্তি হয়ে রয়েছে। যা পরিষ্কার করছে না পৌরসভা বা প্রশাসন থেকে। যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর এবং পৌরসভার বিরুদ্ধেও।
এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।বিজেপি মুখপত্র অরূপ দাস বলেন আমরা তখনই এর প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু শোনেনি মেদিনীপুর পৌরসভা-প্রশাসন।আর তাই যা হওয়ার তাই হলো।সামান্য বৃষ্টিতেই ভগ্নদশা হয়ে পড়েছে এই সেতুর।আমরা এর পাকাপোক্ত মেরামত এবং সঠিক কাজের রূপায়নের দাবি করছি।
যদিও এ বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর রাহুল বিষই কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন বৃষ্টির জলে ভেঙে পড়েছে এই গার্ডওয়াল টি,এটা কোন বড় ব্যাপার নয়।তবে খুব দ্রুত তা সারিয়ে ফেলা হবে।তখন মানুষের অসুবিধা ভেবে পৌরসভার একটি ফান্ড থেকেই এই নালার উপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল এর সঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল একটু পাবলিক টয়লেট। তবে কেন ভাঙ্গা হয়েছে তার জন্য আমরা ইঞ্জিনিয়ার এবং কন্ট্রাক্টর কে ডেকেছি দ্রুত সারিয়ে তোলা হবে।
অন্যদিকে এই সেতু ভাঙ্গা নিয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন আমরা ওই ইঞ্জিনিয়ার কে ডেকেছি। ওদের বিল আটকে রাখতে বলেছি।