নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বিতর্ক ছড়ালো মেদিনীপুরে।মূলত এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিন বছরের কাজের হাল হাকিকত তুলে ধরেন মেদিনীপুরের লোকসভার প্রার্থী,তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়া।তাতে তিনি যে খরচের হিসাব দিয়েছেন এবং যে প্রকল্পগুলি তুলে ধরেছেন সেগুলি ভাঁওতা এবং মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে বলেই মন্তব্য বিজেপির।
এবার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো মেদিনীপুরে, তাও আবার মেদিনীপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ায়।এরকমই ঘটনা মেদিনীপুর শহরে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় এই দিন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ার ম্যান,প্রাক্তন বিধায়ক,তৃণমূল যুব সভাপতিদের নিয়ে ফেডারেশন হলে এক বৈঠকের মধ্য দিয়ে নিজের বিধানসভার তিন বছরের কাজের হাল হাকিকত প্রকাশ করে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া।এই অভিনেত্রী তথা জুন মালিয়া যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীও হয়েছেন।তিনি আট পেজের এই রিপোর্ট কার্ডে ছয় কোটি টাকা দিয়ে ধেড়ুয়া লালগড়ের সংযুক্তকারী রাস্তার উন্নয়ন সাধন সহ প্রায় কয়েক কোটি টাকার ড্রেন, লাইব্রেরী, রাস্তা, কালভার্ট, রাস্তার ধারে লাইট লাগানো, রাম সীতার মন্দির, গান্ধী ঘাট উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কাজের হাল হাকিকত তুলে ধরেন।জুন মালিয়া সাংবাদিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে এও বলেন তারা একাউন্টেন্টবিলিটিতে বিশ্বাস করে।আর এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে মেদিনীপুরে।কারণ অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ জুন মালিয়া যে রিপোর্ট কার্ড দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভাঁওতা এবং অবিশ্বাস্য।
বিজেপির বক্তব্য যেখানে একজন বিধানসভার বিধায়িকা প্রতিবছর ৬০ লক্ষ টাকা করে পান তার MLA কোটায় খরচ করার জন্য সেখানে তিনি তিন বছর থেকে কিভাবে ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার খরচের হিসাব দেন!পাশাপাশি তারা এও অভিযোগ করেন।তাদের এও অভিযোগ পৌরসভার কাজগুলিও বিধায়িকা নিজের কোটার মধ্যে ধরে ফেলেছেন।পাশাপাশি তার কাজের খতিয়ানে ধরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের।মূলত এই লোকসভা ভোটে তারা নিজেদের হার সুনিশ্চিত ভেবে মানুষকে বোকা বানানো এবং ভাঁওতা দেবার জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন।আমরা এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ধিক্কার জানাচ্ছি মেদিনীপুরের বিধায়িকাকে।
এ বিষয়ে বিজেপির জেলা মুখপত্র অরূপ দাস বলেন,” ঢাক ঢোল পিটিয়ে তৃণমূল ধোঁকা দেওয়া একটা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন।এই রিপোর্ট রিপোর্ট কার্ড সম্পূর্ণরূপে এবং অবিশ্বাস্য”।আমরা এক বছর আগেই আমাদের মাননীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষের রিপোর্ট কার্ড ফ্লেক্স,ব্যানার করে বিভিন্ন বিধানসভাতে টাঙিয়ে দিয়েছি। অথচ আজ দেখলাম ভোটের আর দশ দিন বাকি থাকতে তৃণমূলের মেদিনীপুরের বিধায়িকা জুন মালিয়া,তার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন।যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে।আমাদের প্রশ্ন একজন বিধায়িকা বছরে ৬০ লক্ষ টাকা পান তার এমএলএ কোটাতে সেখানে তিনি ছয় কোটি টাকা দিয়ে ধেড়ুয়া ও লালগড়ের রাস্তার সংযুক্তিকরণ ঘটিয়েছেন কিভাবে!এত কোটি টাকা পেলেন কোথা থেকে সেটার আগে জবাব দিহি করতে হবে ওনাকে?এছাড়াও ড্রেন,নালা গান্ধীঘাট সংস্কার,বিভিন্ন রাস্তায় তিনি ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার খরচে হিসাব দেখিয়েছেন তা করেছেন কিভাবে? এটাই আমাদের প্রশ্ন।আমরা দাবি করছি লোকসভার মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং ভাঁওতা দেবার জন্যই তৃণমূল এই ধরনের কাজ করে বেড়াচ্ছে।