নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়্গপুর:
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর বনথা মুরলীর বাড়ীতে ডাকাতি। কাউন্সিলর স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে চলল লুটপাট।এই ঘটনায় শহরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চার দুষ্কৃতী মুখে মাস্ক বাঁধা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তারা কাউন্সিলরের খোঁজ করে বলে অভিযোগ কাউন্সিলারের স্ত্রীর।
ভোটের মুখে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা রেল শহর খড়্গপুরে।ঘটনাক্রমে জানা যায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ ৪ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক মুখে মাস্ক বেঁধে খড়্গপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনথার রেল কোয়ার্টারে ঢুকে পড়েন।সেই সময় বনথা বাড়িতে ছিলেন না।তার স্ত্রী বনথা বিজয়া বাড়িতে একাই ছিলেন।দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেই প্রথমে বিজয়ার হাত-পা বেঁধে দেন। এরপর তারা বাড়ির সমস্ত কিছু লুটপাট শুরু করে।কাউন্সিলর এর স্ত্রী বনথা বিজয়ার গায়ের গয়না বলপূর্বক খুলে নেয়।এরপর বাড়ির আলমারি ভেঙে আলমারিতে সঞ্চিত থাকা গয়না এবং নগদ টাকা বের করে নেন।কাউন্সিলর এর স্ত্রীর কথামতো দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেই বনথার খোঁজ করছিল।তাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লোকসভা ভোটের মুখে এই কাউন্সিলর বাড়িতে চুরির ঘটনায় ফের নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালো সংশ্লিষ্ট এলাকায়।যদিও এর আগে রাস্তা আটকে বন্দুক ঠেকিয়ে চুরির ঘটনা খড়্গপুরে আগেও ঘটেছে।এছাড়াও মেদিনীপুরেও প্রায় সময় বিধাননগর এলাকায় চুরি ডাকাটির ঘটনা আকছার ঘটেই চলে।সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগের দিনই মেদিনীপুর শহরে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এক মহিলার সোনা গয়না চুরি করে দুই দুষ্কৃতি।তা নিয়েও যদিও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।তারপর কাউন্সিলর বাড়িতে ডাকাতি নতুন করে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
এই বিষয়ে আতঙ্কিত কাউন্সিলরের স্ত্রী বনথা বিজয়া বলেন,”রাত্রি সাড়ে ন’টা নাগাদ হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে এই চার দুষ্কৃতী। বাড়ির সামনে দিয়ে এবং পেছন দিয়ে তারা ঢুকে পড়ে।যাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এবং মুখে বাঁধা ছিল মাস্ক।দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেই বনথার খোঁজ করেন।এরপর তারা বলে যা গয়না আছে খুলে দিয়ে দাও নইলে গুলি চালিয়ে দেব।হাত পা বেঁধে সমস্ত গয়না টাকা পয়সা তারা নিয়ে গেছে। সেই সময় আমার স্বামী পার্টি অফিসে ছিলেন।এরপর তারা লুটপাট করে সব বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় আতঙ্কিত হয়ে আমি দুষ্কৃতীরা বেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের পিছনে যাওয়ার কথা ভাবিনি কারণ তাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
যদি ও এই বিষয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনথা মুরলী বলেন,এলাকায় ক্রিমিনালদের অ্যাক্টিভিটি বাড়ছে এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটেছে।তা নিয়ে পুলিশকেও তিনি জানিয়েছিলেন।পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।কিন্তু তারপরেও ক্রিমিনালদের কার্যকলাপ কমেনি।