নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব মেদিনীপুর:
বিরল দৃষ্টান্ত পূর্ব মেদিনীপুরে।মৃত্যুর পর একসঙ্গে দুই ব্যক্তির চক্ষুদান পর্ব। পরিবারের উপস্থিতিতে এবং কুইজ কেন্দ্র সদস্যদের সহযোগিতায় এই চক্ষুদান পর্ব সম্পন্ন হয়। সংগৃহীত হলো দুটি কর্নিয়া।মানবিকতার বার্তা সামন্ত পরিবারের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত খামারচক গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন সামন্ত তমলুক জেলা হাসপাতালে পরলোক গমন করেন।এই খবর পেয়ে ওনার পরিবারের সদস্যদের কাছে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সদস্যরা চক্ষু দান করার আবেদন করেন।পরিবার এই আবেদনে সাড়া দেয়।এরপর অঙ্গদান ও রক্তদান আন্দোলনের কর্মী প্রশান্ত সামন্তর সমন্বয়ে কলকাতা থেকে এম পি বিড়লা আই ব্যাংকের স্বাস্থ্য কর্মী ও ডাক্তারবাবুরা তমলুক জেলা হাসপাতালে উপস্থিত হন এবং কর্ণিয়া সংগ্রহ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মনোরঞ্জন বাবুর পুত্র নিশীথ সামন্ত,পরিবারের আর এক সদস্য অনিল সামন্ত,সমাজকর্মী প্রশান্ত সামন্ত, রবীন্দ্রনাথ কর,কুইজ কেন্দ্রের তিন সদস্য সৌমেন গায়েন, অরুণ কুমার সাউ,গৌতম নন্দ প্রমুখ।পাশাপাশি এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের আদাসিমলা’র গ্রামের প্রয়াত নারায়ণ চন্দ্র বেরার কর্ণিয়াও সংগ্রহ করা।
নারায়ণ বাবু প্রয়াত হবার পর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লক্ষণ চন্দ্র বেরা তাঁর দাদার মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য সমাজকর্মী প্রশান্ত সামন্তকে ফোন করেন।প্রশান্ত বাবু কোলকাতার এম পি বিড়লা আই ব্যাঙ্কের টিমের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আই ব্যাংকের টিম পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছানোর পর প্রশান্ত বাবু আই ব্যাংকের টিম ও তাঁর বড় পুত্র সৌভিক সামন্তকে সাথে নিয়ে মৃত নারায়ণ বাবুর বাড়িতে পৌঁছান এবং দুটি কর্ণিয়া সংগৃহীত হয়।উপস্থিত ছিলেন নারায়ণ বাবুর পুত্র অজিত কুমার বেরা সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য আই ব্যাংকের গাড়ি যখন বাগনানের পথে তখন প্রশান্ত বাবু তমলুকের খবরটা পেয়ে গাড়িকে ফিরতে অনুরোধ করেন এবং তমলুকে মনোরঞ্জন বাবুর কর্ণিয়া সংগৃহীত হয়।