নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
RGkar নিয়ে মিছিল শিক্ষক সমাজের।একদিকে শিক্ষা দপ্তর থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুলকে চিঠি পাঠিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের কোনো রকম মিটিং মিছিলে না যোগ দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে,যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে।আর অন্যদিকে আরজি কর কান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এবার পথে নামল শিক্ষক সমাজ।এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ঘাটাল ও মেদিনীপুরের বিশেষ প্রভাব দেখা যায়। মিছিল থেকে দাবি তোলা হয়,কপিল সিব্বলের ফিজ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে।
পড়ুয়াদের পর এবার রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেল শিক্ষকদের তাও আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। RGkar কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল শহরে ব্যানার,প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদ মিছিল করল ঘাটালের শিক্ষক সমাজ।মিছিলে হাঁটা শিক্ষক শিক্ষিকারা জানান,কোলকাতায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই চিকিৎসক মহিলা কে যেভাবে খুন-ধর্ষণ করা হয়েছে তা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।সেই ঘটনায় যুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবিতে এবার ঘাটাল মহকুমার শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছে।এদিন ঘাটালের পাশাপাশি খোদ মেদিনীপুর শহরেও এক প্রস্থ মিছিল করে এই শিক্ষক সমাজ।এদিন মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার থেকে এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন শিক্ষক সমাজের সদস্যরা। তারা মিছিল করে গোটা মেদিনীপুর শহরের রিং রোড পথ পরিক্রমা করেন।যেখানে মিছিলের মধ্যে থেকে স্লোগান উঠে জাস্টিস ফর আরজি করের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,কলকাতা আরজিকরের ঘটনায় কেটে গেছে আন্দোলনের ১৫ দিন।ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বিক্ষোভ,প্রতিবাদ,বিচারের জন্য দাবি করেছেন সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষজন।খোদ কলকাতা তো বটেই,তারই সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জেলায় এ আন্দোলনের প্রভাব বিস্তার করেছে।সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন সমিতি,ক্লাব বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আন্দোলনের নেমেছিল স্কুলের পড়ুয়ারা।ক্লাসের পর তারা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে রীতিমত কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন এই প্রতিবাদ মিছিলে।যদিও তার ফলস্বরূপ তড়িঘড়ি নতুন নির্দেশিকা জারি করে জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে।যাতে উল্লেখ করে বলা হয়েছিল কোন পড়ুয়ায় স্কুলের চত্বরের অনুষ্ঠান ছাড়া বাইরের কোন ধরনের আন্দোলন বা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।এই নির্দেশ জারি করা হয় গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে।যদিও এই নির্দেশিকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। স্কুলের পর একজন পড়ুয়া কেনই বা স্কুলের নির্দেশ শুনবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে অভিভাবক শিক্ষকেরা।তাছাড়া অন্য কোন জেলায় কেন দেওয়া হয়নি এই নির্দেশিকা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।গতকাল সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই আন্দোলনে হেঁটেছিল পড়ুয়ারা।কেশপুর,কেশিয়াড়ি সালবনি সহ বিভিন্ন প্রান্তে পড়ুয়াদের মিছিল করতে দেখা যায়।
এবার পড়ুয়াদের পাশাপাশি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল শিক্ষকদের।উল্লেখ্য,এই শিক্ষকরা এর আগে কোনভাবেই সরাসরি মিছিলে অংশগ্রহণ করেনি কিন্তু এই দিন প্ল্যাকার্ড ব্যানার পোস্টার সহকারে তারা