নিজস্ব প্রতিনিধি,বিনপুর:
এখনো সাপের ছোবল থেকে বাঁচতে ভরসা করেন কবিরাজ।অবশেষে শেষে উপায় না পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও শেষ রক্ষা হল না যুবকের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাপের ছোবলে মৃত্যু হল সুনীল মূর্মু (২৬) নামের বিনপুর থানার অন্তর্গত নিশ্চিন্তপুর গ্রামের এক যুবকের।রবিবার দুপুরে দেহ ময়নাতদন্ত হয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ মর্গে।
ঘটনা ক্রমে জানা গিয়েছে,গত রবিবার ধান জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার সময় একটি বিষধর সাপ ওই যুবকের ডান পায়ে ছোবল মারে।যুবকের বন্ধুবান্ধব তাঁকে তাঁদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম আমডাঙ্গায় এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়।সেই কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে তাকে ওষুধ দেয় এবং কিছুক্ষণ পরে নিম পাতা ও শুকনো লঙ্কা খাওয়ানো হয়।নিম পাতা খাওয়ার পর নিম পাতার স্বাদ তেতো এবং কাঁচা লঙ্কার স্বাদ ঝাল এটা বলার পর ওই যুবককে বলে তার শরীর থেকে সাপের বিষ নেমে গেছে। তারপর নিশ্চিন্তে বাড়ি চলে আসে ওই যুবক।এরপর রাতের বেলায় শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্পূর্ণ ঘটনা পরিবারের সদস্যদের কে জানাই সে।এরপর তড়িঘড়ি সকালে পরিবারের সদস্যরা যুবককে ঝাড়গ্রাম গভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় যুবকের। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ মর্গে দাঁড়িয়ে মৃত যুবকের আত্মীয় শীতল মুর্মু বলেন,”জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার সময় তার ডান পায়ে একটি বিষধর সাপ ছোবল মারে।
তার বন্ধুবান্ধব পাশের গ্রামের একটি কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়।কবিরাজ তাঁকে সাপের বিষ নামানোর ওষুধ দেয়।তার কিছুক্ষণ পরে নিম পাতা ও শুকনো লঙ্কা খেতে দেওয়া হয় তাকে।খাবার শেষে নিম পাতার স্বাদ তেতো এবং শুকনো লঙ্কার স্বাদ ঝাল বুঝতে পারায় কবিরাজ তাঁকে জানাই তার শরীর থেকে সাপের বিষ নেমে গেছে। পরের দিন সকালে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসি।শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচাতে পারলাম না।তার পরিবারের সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে তাঁর।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিলে পরিবারটি রক্ষা পাবে”।