নিজস্ব প্রতিনিধি,ঘাটাল:
বন্যার জল নয় বরং আতঙ্কের আরেক নাম সাপ।ঘাটালে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা ১০০ পার করেছে।যদিও ইতিমধ্যে ডায়ালিসিসের মাধ্যমে এবং এন্টিভেনামের মাধ্যমে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে আগের চেয়ে সাপ নিয়ে সচেতনতা এলাকার মানুষের মধ্যে।ওঝার পরিবর্তে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছে রোগীর পরিবার।
এবছর পূজোতে আতঙ্কের নাম হল বিষধর সাপ।যার চিন্তায় মাথার ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের।মূলত পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত ঘাটাল সাব ডিভিশনে এখনো বন্যার জলে প্লাবিত।জলমগ্ন পরিস্থিতি ঘাটাল সহ তার সংশ্লিষ্ট এলাকায়।যদি ইতিমধ্যে এই বন্যার জল আস্তে আস্তে নামতে শুরু করেছে।কিন্তু তাতেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না এলাকার মানুষের।উল্টে সাপে কাটা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ঘাটাল এলাকায়।সরকারি তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবার এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ১২৯ জন মানুষকে সাপে কেটেছে।এর মধ্যে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯ জন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৬৭ জন খড়গপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১৩ জন,অন্যান্যরা বেলদা, ডেবরা এবং অন্য রুরাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।যদিও এই এতজন সাপে কাটা রোগীর মধ্যে কেউই মারা যাননি।অন্যদিকে ঘাটালের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে সচেষ্ট হয়েছে প্রশাসন এবং সাংসদ।সাপে কাটা রোগী ট্রিটমেন্টের জন্য এবার ঘাটালে চালু হয়েছে ডায়ালিসিস।অনেক সাপে কাটা রোগীকে ডায়ালিসিস করাতে হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক সাপও উদ্ধার করা হয়েছে।এই ক্ষেত্রে ঘাটালের দুই পরিবেশকর্মী মলয় ঘোষ এবং জাহাঙ্গীর মন্ডল দুজনেই প্রতিদিন একাধিক সাপ উদ্ধার করে চলেছেন।
যদিও মলয় ঘোষ নিজে সাপের কামড়ও খেয়েছেন সাপ ধরতে গিয়ে।তবে তিনি হাল ছাড়েননি।নিজের জীবন বিপন্ন করেও বিষধর সাপ উদ্ধার করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে।উল্লেখ্য,আগের থেকে বর্তমানে সাপের সচেতনতা বেড়েছে মহকুমা জুড়ে।কেউ যে এবার মারা যায় নি তার অন্যতম কারণ এই সচেতনতা।কেউ গ্রামের ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করেনি বরং তড়িঘড়ি সরকারি হাসপাতালে দৌড়ে নিয়ে গেছেন তার সাপে কাটা রোগীকে।