নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিয়ে নিজেদের সংগঠনের পথচলার ২০ বছর উদযাপন। মেদিনীপুর শহরের মূলতঃ বর্ষীয়ান ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সামাজিক সংগঠন মেদিনীপুর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফোরাম এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।এই বর্ষব্যপী বিভিন্ন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সোমবার সংগঠনের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো একটি আন্তঃবিদ্যালয় কুইজ প্রতিযোগিতা।
মূলত খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও প্রতিযোগিতায় অবিভক্ত মেদিনীপুরের তিন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৩৬ টি টীম অংশ নেয়।বাছাই পর্ব ও সেমি ফাইনাল পর্বের পর আটটি দলকে নিয়ে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।এদিনের অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক নিত্যানন্দ পান্ডা।সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সত্যব্রত রায়।অনুষ্ঠানটি সামগ্রিক ভাবে পরিচালনা করেন সহ সভাপতি অশোক চক্রবর্তী।বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।এই প্রতিযোগিতার কুইজারদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট উদ্যোগপতি প্রসেনজিৎ সাহা,রেনেশাঁস ক্লাবের সভাপতি প্রণব দুবে,বিশিষ্ট শিক্ষক গৌরী শংকর মাইতি,শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,প্রধান শিক্ষক সুভাষ জানা সহ ফোরামের সমস্ত সদস্যগণ ও শুভানুধ্যায়ী বৃন্দ। অডিও ভিজ্যুয়াল মোডে কুইজ উপস্থাপন করেন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কুইজ মাস্টাররা।
এইদিন কুইজ কেন্দ্রের পক্ষে দুরন্ত এবং মনোগ্রাহী কুইজ পরিচালনা করেন অরিন্দম দাস,শান্তনু ঘোষ,শুভ রাজ আলি খান,মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত,সৌনক সাউ প্রমুখ। হাড্ডাহাডি লড়াইয়ের পর এই কুইজে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা।তৃতীয় হয় মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্ররা। ফাইনালিস্ট দলগুলোকে স্মারক দেওয়া হয়।সেরা তিনটি দলকে আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়।