নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
স্কুলের দ্বিগুণ বাড়ানো ভর্তি ফি তে আটকে ছিল পড়াশোনা।অবশেষে পৌরসভায় আবেদনের ভিত্তিতে সেই টাকা কমিয়ে ছাত্রদের ভর্তি করালো স্কুল আর তাতেই খুশির হাওয়া ছাত্রসহ পৌরসভা তে। স্কুলের ছাত্ররা ধন্যবাদ জানালো মেদিনীপুর পৌরসভাকে।
ঘটনা মেদিনীপুর শহরের টাউন বয়েজ স্কুলের।ঘটনা সূত্রে জানা যায় মেদিনীপুর টাউন স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য প্রায় হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা এক্সট্রা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।যেখানে অন্যান্য স্কুলে হাজার থেকে বারোশো টাকা ভর্তি ফি নেওয়া হয় সেখানে এই স্কুলে আড়াই হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।এই ঘটনায় স্কুলেরই ছয় ছাত্র শামিম খান,শেখ আব্দুল সাহিল,শেখ রাজীব আলী,কৃষ্ণা প্রধান,শেখ হাকিম,শচীন পাল টাকা জোগাড় করতে অসমর্থ হয়।তারা মাধ্যমিক দেওয়ার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চাই স্কুলে কিন্তু একাদশ শ্রেণীতে তাদের ভর্তি নিলেও ভর্তির ফি করা হয় প্রায় দুগুণ বাড়িয়ে।এই অবস্থায় পারিবারিক অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তারা টাকা যোগাড় করতে পারছিল না।আর টাকা না দিতে পারায় তারা স্কুলের ভর্তি হতে পারছিল না।এই অবস্থায় তারা বিষয়টি জানিয়েছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কাছে।যদিও বিষয়টি জানানোর পরেই মেদিনীপুর পৌরসভা নড়ে চড়ে বসে।
পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং ফি কমানোর আবেদন করেন।যদিও এ ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে ফি কমিয়ে ভর্তি করার আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান কে।যার ফলে খুশির হাওয়া এই ছাত্রদের মধ্যে।তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কে।
এ বিষয়ে ছাত্ররা বলে,”আমরা স্কুলেরই ছাত্র কিন্তু আমাদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ।আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপের জন্য স্কুলের দুগুণ ফি কিছুতেই জোগাড় করতে পারছিলাম না।যেখানে পাশাপাশি স্কুলে ফি কম,সেখানে আমাদের স্কুলে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। তাই আমরা আবেদন করি পৌরসভা কে।সেই মোতাবেক আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে।আমাদের খুশি লাগছে যে আমরা ভর্তি হতে পারবো।
যদিও এই ঘটনায় মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন,”এই টাউন স্কুলের ছাত্ররা কয়েকদিন আগে আমার কাছে এসেছিল অভিযোগ নিয়ে।সেই আবেদনের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ কে আবেদন করি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ আবেদনে সাড়া দিয়েছে এবং ছাত্রদের ভর্তি নিতে রাজি হয়েছে।