নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর :
আনন্দঘন শৈশব ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো গল্প বলা প্রতিযোগিতা। উদ্যোক্তা ছিলেন রেনেসাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন। একদম খুদে কচিকাঁচাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা হয়।প্রতিযোগিতা শেষে সফল প্রতিযোগিদের পুরস্কৃত করেন অতিথিবৃন্দ। কচিকাঁচারা হাতে পায় শংসাপত্র এবং উপহারের ডালি।
মূলত রেনেশাঁ আর্টিস্টস এ্যান্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গল্প বলা প্রতিযোগিতা ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সম্প্রতি এমন এক গল্প বলার আসর অনুষ্ঠিত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের কেশপুর-১ চক্রের গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।এই প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী হন সুদীপা দেব,নন্দিনী প্রামানিক,অনন্যা কাঁঠাল।ফোরামের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের প্রীতি উপহার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
সংস্থার পক্ষে সম্পাদক বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায় জানান,’ ‘মোবাইল থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখে গল্প পড়া, শোনা ও বলার অভ্যাস তৈরি করার জন্য আমরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাচ্ছি।গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে এখানকার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের গল্প বলা আমরা উপভোগ করলাম।আগামীদিনেও এমন কার্যক্রম নিয়ে এ এলাকায় আবার আসতে চাই।’উল্লেখ্য সবুজায়নের বার্তা দিতে ফোরামের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয় অঙ্গনে একটি চন্দন গাছ লাগান ।এই গল্পবলা প্রতিযোগিতায় এইদিন বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন বাচিকশিল্পী পাঞ্চালী চক্রবর্তী,কল্পনা গিরি ও শিউলি দাস।
এই বিষয়ে গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নেহাশিস চৌধুরী বলেন বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষকমণ্ডলী শিশুদের তালিম দিয়েছেন।সবাই চেষ্টা করেছে।এটাই চাওয়া আগামীদিনে সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি ক্রীড়াচর্চার উপর ও গুরুত্ব আরোপ করা হবে।অভিভাবক,বিদ্যালয় পরিচালন সমিতি, শিক্ষকমণ্ডলী সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এভাবেই সফল হোক সব প্রয়াস।উল্লেখ্য,এই গল্পবলা প্রতিযোগিতা ঘিরে এলাকায় খুশির আবহ ছড়িয়ে পড়েছে।