নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল যুবক অবশেষে চারদিন পর তার দেহ উদ্ধার নির্মীয়মান একটি ফ্ল্যাটের পাশের পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে। পরিবারের অভিযোগ তার প্রেমিকা পরিকল্পনা মাফিক খুন করেছে তাদের ছেলেকে। যদিও এই ঘটনায় দেহ উদ্ধার করে প্রেমিকাকে আটক করেছে কোতোয়ালি পুলিশ করছে তদন্ত।
“আমি তোমাকেই ভালোবাসি তোমাকে নিয়ে বাঁচার একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম।সেটা মনে হয় এ জীবনে আর সম্পূর্ণ হলো না”প্রেমিকার উদ্দেশ্যে ঠিক এরকমই একটি চিঠি লিখেই গত চারদিন আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়ে ছিলেন মেদিনীপুর শহরের বছর ৩০ এর এক যুবক অভিজিৎ মজুমদার।বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নির্মীয়মান একটি ফ্ল্যাটের পাশ থেকে অভিজিৎ মজুমদারের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার।যা ঘিরে চাঞ্চল্য মেদিনীপুর জুড়ে।মূলত মেদিনীপুর শহরের অশোক নগরের বাসিন্দা অভিজিৎ মজুমদারের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই এরকমই একটি সুসাইট নোট সামনে এসেছে।পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল অভিজিৎ।চিঠিতে যে প্রেমিকার কথা উল্লেখ করেছে সেই প্রেমিকার সঙ্গে রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছিল আগেই।
এরপর তারা বহুবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু যোগাযোগ না পেয়ে বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও খোঁজাখুঁজি শুরু করে তারা।খোঁজা শুরু হয় বিভিন্ন হোটেল লজ এবং মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায়। যদিও ছেলে অভিজিতের খোঁজ না পেয়ে অবশেষে মিসিং ডায়েরি করা হয় কোতোয়ালি থানায়।এরপর মাঝের কয়েকদিন কেটে যায় কিন্তু এই দিন তার দেহ উদ্ধার হয়।এই দেহ উদ্ধার হয় মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের নির্মীয়মান ফ্ল্যাটের পাশে একটি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে।এই দেহ উদ্ধার করতে ছুটে আসে কোতোয়ালি পুলিশ।আর মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে সুসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ প্রেমিকাকে আটক করে।
মৃতের দাদা ও মামীর অভিযোগ অভিজিতের প্রেমিকায় তার অন্য এক বন্ধুকে সাথে নিয়েই অভিজিৎ মজুমদারকে খুন করেছে।অভিজিৎ মজুমদারের সম্পত্তির উপর লোভ থেকেই এই ঘটনা বলেই মনে করছেন তার বাড়ির লোকজন।তাছাড়া তাদের অভিযোগ সম্প্রতি অন্য একটি ছেলের সাথেও তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল অভিজিতের প্রেমিকার।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।খুন না প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে আত্মঘাতী তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।