Sujay Hazra:ভরসা সেই “সুজয়”!উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী একনিষ্ঠ কর্মী সুজয় হাজরা,নাম ঘোষণা হতেই ফাটল বাজি,করা হলো মিষ্টি মুখ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

অবশেষে তালিকা প্রকাশ করলো শাসক দল তৃণমূল।এদিন দুপুর নাগাদ ছটি বিধানসভার তালিকায় মেদিনীপুর উপনির্বাচনে ঘোষণা হয়েছে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার নাম।আর নাম ঘোষণা হতে উচ্ছ্বাস তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। মিষ্টিমুখ,মালাবরণ বোম ফাটিয়ে উৎসাহে মেতে উঠল তারা।সুজয় বাবু বললেন ১৩ বছরের দিদিমনির কাজকর্মই হবে আমার প্রচার।

প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস

সাড়ে তিন বছরের মাথায় ফের উপনির্বাচন মেদিনীপুর বিধানসভার আর এবারে লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপির। আর এবারের উপনির্বাচনে প্রার্থী হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি একনিষ্ঠ সৈনিক সুজয় হাজরা।প্রার্থী ঘোষণা হতে ই তুমুল উন্মাদনা শাসক শিবিরে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৫ টি বিধানসভার অন্যতম বিধানসভায় হল এই মেদিনীপুর। ২০১১ সালে পালা বদলের পর প্রয়াত মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি এই বিধানসভা থেকে লড়াই করে জিতে এসেছিলেন বামেদের হারিয়ে।এরপর ২০১৬ এবং ২০২১ এ এই বিধানসভা নিজেদের দখলে রাখে শাসক দল।তবে ২০২১ এর আগেই প্রয়াত হয়েছেন মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক মৃগেন মাইতি আর তার জায়গায় প্রার্থী হয়েছিলেন টলিউডের অভিনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় পাত্র জুন মালিয়া।জুন মালিয়া মুখ্যমন্ত্রীর ভরসা কে অক্ষুন্ন রেখেই প্রথমে বিধায়ক এরপর সাংসদ হয়েও জিতে দেখিয়েছেন।বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের জেতা সিট তিনি ছিনিয়ে এনেছেন তৃণমূলের দখলে।কিন্তু তিনি সাংসদ হয়ে যাওয়ার পর এই সিট ছিল ফাঁকা।ফলে পুজো ফুরোতেই আর পাঁচটি বিধানসভার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের এই বিধানসভার উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

তাই এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।আর এই সুজয় হাজরার নাম ঘোষণা হতে একপ্রকার উৎসাহ উন্মাদনা দেখা দিল শাসক শিবিরে।যদিও ক্যান্ডিডেটের নাম ঘোষনার আগেই ওয়ার্ড সহ বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় এক প্রকার দেওয়াল ঘেরা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। এইদিন দুপুর নাগাদ নাম ঘোষণা হতেই পার্টি অফিসে কর্মী সমর্থক এলাকার কাউন্সিলররা দৌড়ে আসেন।মালা পরিয়ে সাদরে বরণ করেন এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন দিদির একনিষ্ঠ কর্মী আমি।কখনো কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি।তবে পেছনে থেকে সমস্ত কাজকর্ম করেছি। ২০০১ সাল থেকে প্রাক্তন প্রয়াত কাউন্সিলর গৌরি ঘোষ কে জেতানোর পাশাপাশি ২০০৪, ০৬, ১১, ১৬,১৯,২১ ও ২০২৪ সালে লোকসভার ভোটে প্রচারে সর্বত্র ভূমিকা গ্রহণ করেছি। প্রচার নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন ১৩ বছরের দিদির কাজকর্মই হবে আমার মূল প্রচার।আরজিকর প্রসঙ্গে সুজয় বাবুর বক্তব্য এখন আর জাস্টিস ফর আর জি কর নয় বরং রাজনীতি দলগুলি নিজের প্রচারে নেমেছে,তার প্রভাব কোনভাবেই পড়বে না এই ভোটে।তবে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী নিয়ে মন্তব্য নিজের প্রচারই শেষ কথা।কোন প্রার্থী কি করল বা কি করবে তা নিয়ে কোন মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করি না।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in