নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
আক্রান্ত বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী নেত্রী মৌমিতা সিংহ কে দেখতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।এইদিন তিনি ঘাটালে যাওয়ার আগে এক প্রস্থ আক্রান্তকে দেখে যান এবং তার সুস্থতা কামনা করেন।সেই সঙ্গে কেশিয়াড়ি বিডিও এবং তৃণমূল নেত্রী কল্পনা শিটের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
তিনি এই দিন নির্ধারিত সময় দুপুর ৩:১৫ নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এসেছিলেন।এরপর তিনি দেখতে যান কেশিয়াড়ির পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মৌমিতা সিংহ কে।এরপর নিচে নেমে এসে বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।প্রথমেই তিনি বিজেপি নেত্রী আক্রান্তের ঘটনায় কেশিয়াড়ি বিডিওর গ্রেফতারের দাবী করেন।কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন কেশিয়াড়ি বিডিও ওনাকে ডেকেছিল বৈঠক করার নামে।পাশাপাশি ওখানকার তৃণমূল নেত্রী কল্পনা শিটের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন।তিনি বলেন লোহার রোড দিয়ে মারধর করা আছে তাদের নেত্রী কে।যাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে তৃণমূল সম্পাদিকা কল্পনা শিট।তিনি এও দাবি করেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ডিজিপিকে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু ওখানে জানালে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এটাও আমরা জানি।তবে কি করলে কেশিয়াড়ির বিডিওকে শিক্ষা দেওয়া যায় এবং মূল অভিযুক্ত কল্পনা শিট কে জেলে পাঠানো যায় তার ব্যবস্থা ভারতীয় জনতা পার্টি করবে।
এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাধের মেদিনীপুর মেডিকেল হাসপাতাল নিয়েও কটাক্ষ করেন।তিনি বলেন নামে সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল কিন্তু বাস্তবে ভবরা ঢেঁকি।তাদের আক্রান্ত রোগীকে একটা বালিশ পর্যন্ত দেয়নি।পাশাপাশি তিনি তার আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী কে নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেন কর্মী সমর্থক ও জেলার নেতৃত্বদের।এরপর রাজ্যপালের কাছে ধর্না বসা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন হাইকোর্ট রায় দিয়েছে ওরা এবার প্যাঁচে পড়েছে।এবার বুঝুক ১৪৪ ধারা ভেঙে কেন ভাইপো ধর্না দিতে বসেছিল।এরপর প্রশ্ন ছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকা নিয়ে যদিও ওই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী অধিকারী সোজাসুজি জানিয়ে দেন যাকে ডেকেছে সে বলতে পারবে।তবে দেব প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করেন বলেন গত ২৩ তারিখ তিনি সমস্ত ডকুমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন কার কাছে ঘড়ি নিয়েছেন,কার কাছে আসবাসপত্র এবং মোবাইল নিয়েছেন এই ঘাটালের চোর সাংসদ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় কেশিয়াড়ির পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্স হলে এক সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয় কেশিয়াড়ীর বিডিও তরফ থেকে।এই দিনের বৈঠক অর্থ তহবিলের বৈঠক ছিল।আর এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষ সদস্য সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও কেশিয়াড়ি বিজেপির দক্ষিণ মন্ডলের সভানেত্রী মৌমিতা সিংহ। সেই বৈঠকেই বিজেপি নেত্রী মৌমিতা সিংহের অভিযোগ তিনি উপস্থিত হলেই তার ওপর চড়াও হয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সহ জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা শীট।তাকে মারধোর করা হয় এরই সঙ্গে তার কাপড় টেনে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন বিজেপির সভানেত্রী।দফায় দফায় দুবার ধরে তার ওপর চড়াও হন বলে জানিয়েছেন তিনি।সারা বিডিও অফিস চত্বর দৌড় করিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে এমনই অভিযোগ তোলেন বিজেপির সভানেত্রী।এই ঘটনা ঘটার দু ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তার মেডিকেলের কোন ব্যবস্থা না করে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বিডিও তরফ থেকে।
এই ঘটনার পুলিশে খবর পেলে পুলিশ উপস্থিত হয়।এরপর মৌমিতা সিংহকে প্রথমে কেশিয়াড়িতে পরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করার জন্য আনা হয়। বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।