নিজস্ব প্রতিনিধি,পিড়াকাটা:
প্রায় এক কোটি টাকা করে মুখ্যমন্ত্রী সভাতে খরচা হয় পুলিশের পিছনে অথচ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সেফটিপিন লাগাচ্ছেন ছেঁড়া জুতায় এটা ভাবা যায়,মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।এরই সঙ্গে তিনি বলেন ২১ সালেই আমি সেফটিপিন ফুটিয়ে দিয়েছি, যা আর কোনদিন বেরোবে না।এরই সঙ্গে তিনি পুলিশের বিভিন্ন ভ্যারাইটির উদাহরণ দেন যে কারণে পুলিশকে রাখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে।
ঝাড়গ্রামের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর জুতো ছিঁড়ে গিয়ে সেফটিপিন লাগানো প্রসঙ্গ নিয়েই এবার কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার।তিনি বললেন আমি ২১ সালেই সেফটিপিন ফুটিয়ে দিয়েছি।ওই সেফটিপিন আর বেরোবে না।কানের কাছে ভো ভো করবে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,ভোটের মুখে শাসক দলের সঙ্গে বিরোধীদের প্রচার চলছে জোর কদমে।তবে পিছিয়ে নেই বামেরা।এখন চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রচার।এইদিন ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরের কিছু অংশ নিয়ে রয়েছে পিড়াকাটার একটা অংশ।তাই মেদিনীপুরের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা এবং ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু কে নিয়ে প্রচারে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনি সভা মঞ্চে দুই প্রার্থীকে রেখে বক্তব্য রাখা শুরু করেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কিছুটা উত্তেজিত সুরে শুভেন্দু বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চেই নিজের সেফটিপিন লাগাচ্ছে ভাবা যায়”।তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন এক একটি দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে প্রায় এক কোটি টাকা করে খরচ হয় পুলিশের পেছনে।সেই পুলিশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন এই পুলিশ গুলির মধ্যে কেউ কুকুর ধরা,জলভরা,মঞ্চ করা,জামা ধরা,ছোঁড়া ফুল আটকানো পুলিশ সহ বিভিন্ন ধরনের পুলিশের উদাহরণ দেন।এরই সঙ্গে মাইক টেস্ট,মঞ্চ ধরা সাপ ধরা সহ বিভিন্ন ধরনের পুলিশের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়।
মমতাকে কটাক্ষ করতে গিয়েও বলেন যেখানে মানুষ পানীয় জল পায় না সেখানে লিটার লিটার জল ছড়ানো হয় মাঠে যাতে উনি হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় নাকের মধ্যে ধুলো না ঢুকে যায়।এরপর মুখ্যমন্ত্রীর জুতো নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন আগে মমতা ব্যানার্জি পরতেন অজান্তার জুতো এখন পরেন অ্যাডিডাসের জুতো।আমি বলে ফেলেছিলাম লেবেল তুলে চটি ব্যবহার।এরপর নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন আমি তো আপনার পায়ে সেফটিপিন ফুটিয়ে দিয়েছি। ২১ সালের নন্দীগ্রামে।১৯৫৭ ভোটে হেরেছিলেন তিনি।যেই সেফটিপিনটি আর কোনদিন বেরোবে না।একটু হাস্যকৌতুক সুরে বলেন,”যতদিন উনি বাঁচবেন ততদিন ওনার কানে বাজবে,”আমি হেরেছি,আমি হেরেছি”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এদিন মেদিনীপুর প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে নিয়ে মোট তিনটি সভা এবং একটি rally তে যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।তার এই সভায় মেদিনীপুরের প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন ঝাড়গ্রামের প্রার্থী প্রণত টুডু।এদিন শুভেন্দু অধিকারী তার তিনটি সভাতে স্বভাব সিদ্ধ ভাষায় কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা নেতৃত্বদের।এরই সঙ্গে তিনি মোদির ১৭৫ টি প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন জনগণের কাছে এবং দেশে তৃতীয়বারের মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার আবেদন করেন।