নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষের আগের দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা।এদিন তিনি হাজার হাজার কর্মী সমর্থক সংযোগে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে সস্ত্রীক মনোনয়ন জমা দিতে আসেন।জেতার বিষয়ে বললেন 5 বার ভোট ম্যানেজার ছিলাম আমি,নতুন করে কাউকে চেনাবার কিছু নেই।আজ যা লোক দেখছেন ১৩ই নভেম্বর একই লোক দেখবেন।এখানে আমার কৃতিত্ব কিছু নেই,সব কিছুই দিদির কৃতিত্ব।
গত ১৮ অক্টোবর সরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছে ছটি বিধানসভার উপনির্বাচনের।যে উপনির্বাচন হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর বিধানসভার।মূলত এই বিধানসভার বিধায়িকা জুন মালিয়া সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় এই স্থানে উপনির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে।আর তাই সেই উপনির্বাচনে লড়াই করতে বিজেপি প্রার্থীর শুভজিৎ রায়ের প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াই করছে তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা।যিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি।এদিন নির্দিষ্ট সময় অনুসারে প্রায় কয়েক হাজার মানুষজনকে নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি করে মনোনয়ন জমা দিতে যান তৃণমূল প্রার্থী। এই বর্ণাঢ্য র্যালিতে ছিলেন শাসক দলের মন্ত্রী,বিধায়ক জেলা পরিষদের সভাধিপতি,পৌরসভার চেয়ারম্যান,কাউন্সিলর সহ কর্মী সমর্থকেরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,বাম জমানা পরিবর্তনের পর এই মেদিনীপুর বিধানসভা তৃণমূলের দখলে ছিল প্রতিবার। ২০১১ সালে এ বিধানসভা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন মেদিনীপুরের প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন মাইতি।তিনি দুটো টার্মে জেতেন।এরপর ২০২১ এর তৃতীয় টাইমে লড়াই করার আগেই তিনি মারা যান।আর তার জায়গায় নাম ঘোষিত হয় টলিউড অভিনেত্রী জুন মালিয়ার।তবে জুন মালিয়া লড়াই করে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের এই সিটটি নিজের দখলে রাখে।
যদিও সাড়ে তিন বছরের মাথায় ফের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা থেকে দাঁড়িয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী।সেই ভোটে বিজেপির জেতা লোকসভা আসন অগ্নিমিত্রা পাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাকে ভোটে হারিয়ে লোকসভা আসন দখল করে তৃণমূল।তবে এই জয়ে ফলাফলের দিক দিয়ে মেদিনীপুর ২৫ টি ওয়ার্ডে ভোট কমেছে তৃণমূলের।এখন এই উপনির্বাচনে সেই ভোট উদ্ধার করে কত হাজার ভোটে জিতে সেটাই দেখার।
এদিন মনোনয়ন জমা দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন,”এত কর্মী সমর্থক দেখছেন এটা আমার কৃতিত্ব কিছু নেই।সবাই দিদিকে ভালোবেসে এবং আমাকে ভালোবেসে এই মিছিল অংশগ্রহণ করেছে।যা আজ দেখছেন তা ১৩ ই নভেম্বরে দেখবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন উনার সম্পর্কে বলার কিছুই নেই।যে যার ভোটের প্রচার সে করবে।তবে একটাই বার্তা থাকবে যে বিভাজনের রাজনীতি করবেন না। তবে জিতে আসার পর একটাই কাজ হবে ঐতিহাসিক মেদিনীপুর শহরে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখে।