নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
গত কুড়ি দিন ধরে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন কিন্তু ভাবেননি পেটের ভেতরে এত বড় টিউমার তিনি পুষেছিলেন।অবশেষে প্রসূতি ডাক্তার মনীশ অধিকারীর তত্ত্বাবধানে সাড়ে ছকেজির টিউমার অপারেশন করলেন গৃহবধূ।আর তাতেই স্বস্তি নেমে এসেছে পরিবারে। যা জেলায় বিরল বলেই দাবি চিকিৎসকের।
বিরল এক টিউমার অপারেশন করে রোগীর সুস্থতা ফিরিয়ে আনলো মেদিনীপুরের বিখ্যাত নার্সিংহোম বিট মেটারনিটি কাম নার্সিং হোম।ঘটনাচক্রে জানা যায় মেদিনীপুর পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্ষা মাইতি।স্বামী বিপ্লব মাইতি একজন টোটো চালক।এই বছর ৩৪ র মহিলা ভেতরে ভেতরে পেট ব্যথা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছিলেন।ভেবেছিলেন গ্যাস হয়েছে।তাই মেডিসিনের পাশাপাশি সম্প্রতি ভোরবেলায় এবং বিকেলবেলায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন।তাতেও যখন সমস্যার সমাধান হয়নি তখন তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য দেখাতে যান। কিন্তু তাতেও সমাধান মেলেনি।এরপর তিনি এই মেদিনীপুরের প্রখ্যাত বিট মেটারনিটি কাম নার্সিং হোমে ভর্তি হন।তিনি তার সমস্যা কথা বলেন।সেই সমস্যা শুনে এখানকার প্রসূতি ডাক্তার মণীশ অধিকারী কিছু টেস্ট করতে দেন।এরপর তিনি পেটে টিউমার আছে বলে জানান রোগীর পরিবারকে।সে ক্ষেত্রে অপারেশন করতে হবে বলে জানিয়ে দেন।সেই মোতাবিক চটজলদি একটি তিনি টিম তৈরি করেন।প্রায় পঞ্চান্ন মিনিটের অপারেশনে সাড়ে ছ কেজির টিউমার তিনি পেট থেকে বের করেন।
তারপরেই তিনি রোগী কেউ বেডে দেন সুস্থতার জন্য। অন্যদিকে এই টিউমারের অংশ টেস্টের জন্য পাঠান এর বড় কোন রোগের কারণ হতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখতে।যদিও এই অপারেশনের পর রোগী সুস্থ আছেন এবং সম্প্রতি তাকে বাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে নার্সিংহোম। এই চিকিৎসার ফলে খুশি রোগের পরিবার এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সহ চিকিৎসকেরা।কারণ এই ধরনের বিরল টিউমার ওপেন সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করা খুবই দুরূহ ব্যাপার।এই টিউমারটি আসলে আকারে ২৪×২৪×১৪ ইঞ্চি।যার ফলে অপারেশন করতে এবং অপারেশনের উপর রোগীর অবস্থা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিল চিকিৎসকেরা। কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সঠিক ভাবে অপারেশন করার পর রোগীর আগের অবস্থায় ফেরানো গেছে। যদিও সুস্থতায় রোগী এবং রোগীর পরিবার জানিয়েছে এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা অন্য কোন নার্সিংহোমে পাইনি।
এই নিয়ে প্রসূতি ডাক্তার মনীশ অধিকারী বলেন,”এই রোগী যখন প্রথমে পেট ব্যথা নিয়ে এসেছিল আমরা ভাবতে পারিনি পেটের ভেতরে এত বড় টিউমার হয়েছে। তবে এই ধরনের টিউমার বিরল।এখন রোগী সুস্থ আছে এবং আমরা দ্রুত তাকে বাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা করছি।
অন্যদিকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জগৎ প্রতি সিংহ বলেন,”আমাদের নার্সিংহোমে এই রোগী ও রোগীর পরিবার আসার পর আমরা ডাক্তার বাবুর কথামতো ব্যবস্থা করে দিয়েছি।যেখানে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের নার্সিংহোমে।যার ফলে দ্রুত চিকিৎসার দরুন রোগী সুস্থ হয়েছে,আমরা এরকম ভাবেই মানুষের সেবা করে যাব আগামী দিনে।
অন্যদিকে আরেক পার্টনার মিঠুন বেরা বলেন,”মেদিনীপুর শহর জেলায় যে সমস্ত নার্সিংহোম গুলি রয়েছে তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করেছি মানুষকে দ্রুত এবং স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা দিতে।আমাদের কাছে ২৪ ঘন্টায় সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।রাত-ভিতে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ায় আমাদের পরম কাজ।