নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
১৮ বছরের সাবালিকা না হলে বিয়ে করব না,কন্যার এইরকম সেই চাপে পড়েই অবশেষে বিয়ে দিতে গিয়েও পিছু হটল পরিবার। যদিও রাঙামাটি স্কুলের এই ছাত্রীর ঠাঁই এখন হোমে আর সেখান থেকে সে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। ফলে নিজের বিয়ে নিজে রুখে দিয়ে মুশকিল আসান হোলো বয়স ১৬ র কোয়েল।
নিজেই উদ্যোগী হয়ে নিজের বিয়ে রুখল মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি কিরণময়ী স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী বছর ষোলোর নাবালিকা কোয়েল সিং।রাঙামাটির ইন্দিরা পল্লীর বাসিন্দা কোয়েলের পরিবার পরিজনরা কোয়েলের বিয়ে ঠিক করছিলেন ঘাটালের এক পাত্রের সাথে।আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কোয়েলের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল।বিয়েতে রাজি ছিল না কোয়েল।সে আরও পড়াশুনা করতে চায়।বাড়ির লোকজনদের সে তার বিয়েতে অসম্মতির কথা জানিয়েছিল।কিন্তু বাড়ির লোকজন তার কথায় গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং বিয়ের দিন এগিয়ে আসতে থাকায় চিন্তায় পড়ে কোয়েল। শেষমেষ বিয়ে আটকানোর কোনো উপায় না পেয়ে সোমবার স্কুলে এসে বিষয়টি জানায় কোয়েল।বিষয়টি জানার পর তৎপর হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিশ্র,পরিচালন সমিতির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক সাউ,স্টাফ কাউন্সিলে সম্পাদক শিক্ষক কৃষানু দাস সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
এই খবর পাঠানো হয় পুলিশ সহ প্রশাসনের নানা স্তরে।খবর পেয়ে তৎপরতা দেখায় প্রশাসন।পুলিশ কোয়েলের বাবা-মা কে স্কুলে নিয়ে আসে।বাবা মাকে জানিয়ে দেওয়া হয় মেয়ে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত কোন মতেই মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না।মেয়ে যতদূর পড়তে চায় তাকে পড়তে দিতে হবে।শেষমেষ সিদ্ধান্ত হয় আপাতত কোয়েলকে হোমে রাখা হবে।সেখান থেকে ও স্কুল আসবে।প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মিশ্র,শিক্ষক রূপক সাউ,শিক্ষক কৃশানু দাসরা প্রশাসনের সাথে গিয়ে কোয়েল কে বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে ছেড়ে দিয়ে আসেন।