নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
বেকারদের কাজ,ফসলের লাভজনক দামের নিশ্চয়তা আইন,শ্রমকোড ও স্মার্ট মিটারসহ বিদ্যুৎ বিল বাতিল,নিউ এডুকেশন পলিসি বাতিল,রেগার কাজ চাই -এই সকল বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে মেদিনীপুর জেলার তিনটি জায়গায় আইন অমান্যের ডাক দিয়েছিল বামেদের সংযুক্ত কিষান মোর্চা কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশন সমূহ।দফায় দফায় এই আইন অমান্যের সঙ্গে জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও হয়।এই আইন অমান্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মেদিনীপুরের জেলাশাসক অফিস চত্বর।
মূলত এই দিন সংগঠনের নেতৃত্ব এবং কর্মীরা সঙ্গে বামেদের পড়ুয়ারা এই আইন অমান্যে অংশ নেয়।জেলা কালেক্টরেটে পুলিশের প্রহরায় তারা আইন অমান্য করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে এক প্রস্থ হাতাহাতি এবং ধস্তাধস্তি হয়। সেই ঘটনায় বামেদের চার পড়ুয়া অল্প বিস্তর আহত হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।এছাড়া এই আইন অমান্যে বেশ কিছু পুলিশ কর্মী হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। আন্দোলন কারীদের মারতে দেখা যায় তাদের এক প্রস্থ।শেষ পর্যন্ত আইন অমান্য শেষ হয়।যদিও পুলিশের এই লাঠি চালানোর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এই ইউনিয়নের এবং ফেডারেশন সঙ্গে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সদস্যরা।এই ঘটনায় নেতৃত্ব এবং কিষান মোর্চার সদস্যরা পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় ধিক্কার এবং ক্ষোভ উগরে দেন।
এই বিষয়ে শাওলি দত্ত,সৃজিতা দে বক্সি বলেন সন্দেশখালি তে যেভাবে অত্যাচার করেছে পুলিশ ভেবেছিল এখানেও তাই করবে তারা কিছুটা আমাদের ছাত্রীদের উপর অত্যাচার নাম এনেছে।আমরা মূলত নিউ এডুকেশন পলিসি,বেকারদের কাজ সহ বেশ কিছু দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতেই এই আন্দোলনে এসেছিলাম কিন্তু পুলিশের এই অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে সংগঠনের নেতৃত্ব মেঘনাথ ভুঁইয়া বলেন কেন্দ্র সরকার একের পর এক ভ্রান্ত নীতি চালু করে চলেছে, আজ সেই নীতির ফলে এই গোটা দেশ জুড়েই সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষসহ বেকার যুবক-যুবতীরা।সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজ্য সরকার।যারা সন্দেশখালীর মতন ঘটনায় নির্বিচারে অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশকে দিয়ে। আজকেও আমাদের আইন অমান্য ছিল নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী তিনটে জায়গায়।যদিও এই আইন অমান্যে এসে পুলিশের লাঠি চালানো যা দেখে আমরা সত্যি স্তম্ভিত এবং নিন্দা জানাচ্ছি। তবে এই পুলিশের লাঠি চালানো নতুন নয়,গোটা রাজ্য জুড়েই তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।