মেদিনীপুর 1 লা এপ্রিল :
দুজনেই বন্ধু,দুজনেই বিধায়িকা এবং দুজনেরই প্রচার জোর কদমে চলছে গোটা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে।এক চুল কেউই ছাড়তে রাজি হয়নি।দুজনেরই মধ্যে কিছুটা মিল রয়েছে ব্যক্তি আক্রমণ না করা প্রসঙ্গে।তবে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী জুন মালিয়া নিয়ে কোন বার্তাই দিলেন না অগ্নিমিত্রা।শুধু বললেন যুদ্ধটা যুদ্ধই,যেখানে বন্ধু-বান্ধব,ভাই-বোন কোন বিষয়ই না।
ভোট যুদ্ধে সরগরম গোটা দেশের সঙ্গে জঙ্গলমহল মেদিনীপুর।মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার লড়াই হচ্ছে অভিনেত্রী বনাম ফ্যাশন ডিজাইনার তথা বিধায়িকার।তবে লড়াই এ কেউই কম যান না।একজন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা আর একজন মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়িকা।দুজনেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত।কেউই এক চুল ছাড়ছে না প্রচার পর্বে।এই তীব্র দাবদাহ,গরম,বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে জোর কদমে প্রচার পর্ব।এই দিন মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজার এলাকায় প্রচার করতে এলেন বিজেপি প্রার্থী তথা সেলিব্রেটি অগ্রিমিত্রা পল।এইদিন তিনি প্রচার করেন কলেজ স্কোয়ারের কাছে রাজা বাজারের দোকানদার এবং সবজি ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে।সেই প্রচার পর্ব শেষ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।সেখানেই প্রশ্ন উত্তর পর্বে প্রথমে উদয়নের গাড়ি ভাঙচুর নিয়ে বিজেপি অভিযুক্ত বলে প্রশ্ন করলে তিনি এই ধরনের নিকৃষ্টতম কাজ বিজেপির লোকজন করতে পারে না।কিছুদিন আগে আমরা দেখেছিলাম নিশীথ প্রামানিকের গাড়িতেও ভাঙচুর হয়েছিল।সেই ঘটনায় উদয়ন গুহ আর তার ছেলেএই ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি এও বলেন এখন ইকুয়াল গোল করার জন্য নিজের গাড়িতে নিজেই হামলা করিয়েছেন।এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ইলেকশন অফিসে কমপ্লেন করছেন কিন্তু বিজেপি কমপ্লেন করছেন না এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যেখানের ঘটনা আমরা সেখানেই কমপ্লেন করছি কিন্তু এবার ইলেকশন কমিশনের বিষয়ে তারা কি করবেন।এরপর অগ্নিমিত্রাকে জুন মালিয়ার সঙ্গে দুই বন্ধুর লড়াই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যুদ্ধে কোন প্রিয়জন থাকে না,কোন বন্ধু নয়।যুদ্ধে কোন মা বাবা বন্ধু কেউ থাকে না,যুদ্ধ যুদ্ধই হয়।স্বাধীনতা যুদ্ধ আমরা শুনেছি,এই যুদ্ধ আরেক যুদ্ধ।তিনি এও বলেন এই যুদ্ধ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ এবং পশ্চিমবঙ্গ কে বাঁচানোর যুদ্ধ।তিনি কটাক্ষ করে এও বলেন”বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী”।এরপর অভিনেত্রী বন্ধু জুন মালিয়া নিয়ে বলেন জুন মালিয়া তার বন্ধু হতে পারে কিন্তু এই লড়াইতে তার কোনো জায়গা নেই।এরপর প্রচারে ব্যাক্তি আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন আমি কখনো ব্যক্তি আক্রমণ করি না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমার লড়াই,তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যে ধরনের অত্যাচার করে গেছেন এই বাংলায় তার বিরুদ্ধে আমার লড়াই।সুতরাং এখানে টিএমসি বা সিপিএম প্রার্থী কে তাতে আমার কিছু এসে যায় না।তবে বন্ধুকে নিয়ে বার্তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন বন্ধুর প্রতি কোনো বার্তা নেই।কেবল মাত্র লোকসভার মানুষদের বলব যেন তারা ভোটটা দিতে যান,যাকেই ভোট দিন,অন্তত ভোট টা দিন।