একসময় মালগাড়ি চালাতেন এরপর যাত্রীবাহী রেল চালাতে হাত লাগালেন দুই সন্তানের জননী দীপান্বিতা দাস। ভোর ভোর সংসারের রান্না বান্নার কাজ শেষ করে ৬টা ২০ র লোকাল নিয়ে রওনা দিলেন হাওড়ার উদ্দেশ্যে।লোকাল ট্রেনে চালকের আসনে বসে বার্তা দিচ্ছেন”আমরা নারী, আমরা সব পারি”।
বিগত দশ বছরেরও বেশি সময় পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়েছেন বিভিন্ন রুটে এ বার যাত্রিবাহী ট্রেন চালালেন।মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রথম মহিলা লোকোপাইলট হিসেবে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর বিরল কৃতিত্ব স্থাপন করলেন খড়গপুরের দীপান্বিতা দাস।রেল সুত্রে জানা যায় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ট্রেন নিয়ে রওনা দেন দীপান্বিতা। পরে হাওড়া পৌঁছে আবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই রুটের অন্য একটি লোকাল ট্রেন চালিয়ে মেদিনীপুর ফেরেন।সূত্র অনুযায়ী এই লোকো পাইলটের দুই সন্তান রয়েছে খড়্গপুর শহরে।যার মধ্যে একজন পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে।যদিও কর্মসূত্রে তার স্বামীও রেলেই চাকরি করেন।কাজের গুরুত্ব কাজেই দেন দীপান্বিতা।কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করে সবাইকে খাইয়ে স্নান সেরে রওনা দেন কাজে।
ট্রেন চালক দীপান্বিতা দাস বলেন এর আগে পণ্যবাহী ট্রেন চালাতাম।পণ্যবাহী ট্রেনে সাধারণত সময় একটু বেশি লাগে।তবে সেই তুলনায় যাত্রিবাহী ট্রেনে সময় একটু কমই লাগে।রেল চালানোর জন্য এখানে নারী,পুরুষ বলে কোনও আলাদা ব্যাপার নেই এইখানে সবাই সমান।বহুদিনের ইচ্ছে ছিল তা পূরণ হচ্ছে। আমি মনে করি সকল মহিলারায় এগিয়ে আসুক এই প্রফেশনে।তবে সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও আশা করছেন এই লোকো পাইলট।