নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের “তুঘলকি” সিদ্ধান্ত ও স্বৈরাচারী নির্দেশে স্কুলের প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাদের উপর স্কুল ছুট পড়ুয়াদের দায়িত্ব চাপিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এডমিট আটকানোর যে ফরমান জারি হয়েছে।সেই নির্দেশনামাকে অবিলম্বে বাতিল করার দাবীতে মেদিনীপুর শহরে শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এর বিক্ষোভ মিছিল সহ পর্ষদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ সভা ও ডেপুটেশন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা সম্পাদক জগন্নাথ খান বলেন,সম্প্রতি এক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।তাতে নবম শ্রেনীতে যত জন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তারা সবাই দশম শ্রেনীতে পড়ার পর,তারা যে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তার দায়িত্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বীকার করে স্বাক্ষরিত ফর্ম পর্ষদে জমা দিতে হবে।নইলে ২০২৪ শিক্ষা বর্ষের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দের এডমিট সেই স্কুল গুলিকে দেওয়া হবে না।আর্থ সামাজিক কারনে বহু পড়ুয়া বিশেষ করে ছেলেরা ঘরবাড়ি গ্রাম ছেড়ে অনত্র চলে যাওয়ার ঘটনা কোভিড পরবর্তী সময় থেকে স্কুল ছুট বেড়েই চলেছে গ্রামে গঞ্জে। এমন স্কুল ছুটদের দায়িত্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহ ক্লাস শিক্ষক-শিক্ষিকা দের উপর চাপিয়ে দেওয়া এবং তারপর চাকুরি সংক্রান্ত কাগজ পত্রে জটিলতা তৈরী করার ফন্দী সহ জব্দ করার চক্রান্তের পদক্ষেপ বলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচী হয়।
তিনি আরও বলেন,এই সরকার এতটাই অমানবিক ও দেউলিয়া যে নবম শ্রেনীর পড়ুয়াদের রেজিষ্ট্রেশন ফিজ ৮ গুন বাড়িয়ে ১০০০ টাকা নির্ধারন করেছে ২০২৪ শিক্ষা বর্ষ থেকে।প্রান্তিক পরিবারের পড়ুয়াদের নবম শ্রেনী থেকেই স্কুল ছাড়ানোর জন্য এমন ফিজ বৃদ্ধি বলে অভিযোগ তুলে এই ফিজ কমানোর দাবী জানানো হয় মেদিনীপুর শহরে আঞ্চলিক পর্ষদ দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্য মাধ্যমিক পর্ষদ আধিকারীককে।দাবী তোলা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পূর্বের ন্যায় স্বশাসিত এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে পরিচালনা করার হোক। সরকার মনোনিত লোক বসিয়ে এমন অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপের তুমুল প্রতিবাদ জানানো হয়। এদিনের ডেপুটেশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন এবিটিএ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক জগন্নাথ খান, সভাপতি মৃনাল কান্তি নন্দ,সদর মহকুমা সম্পাদক শ্যামল ঘোষ,সভাপতি সুরেশ পড়িয়া,খড়্গপুর মহকুমা সম্পাদক প্রভাস রঞ্জন ভট্টাচার্য প্রমুখ।